Bishnupur Medical College: মাত্র ৭ ইউনিট রক্তে কী হবে? ক্রমশ সঙ্কট বাড়ছে বিষ্ণুপুরে
Bankura: যার জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী ও তাঁর আত্মীয়দের। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে? সেই সংক্রান্ত কোনও সদুত্তর দেখাতে পারছেন না ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা।
বিষ্ণপুর: একটানা দাবদাহ তার সঙ্গে পঞ্চায়েতের নির্বাচনের রাজনৈতিক ব্যস্ততা। এর জেরে কার্যত রক্তশূন্য বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন হয়ে উঠেছে যে প্রয়োজনীয় রক্তের গ্রুপের রক্তদাতা না নিয়ে গেলে মিলছে না রক্ত। যার জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী ও তাঁর আত্মীয়দের। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে? সেই সংক্রান্ত কোনও সদুত্তর দেখাতে পারছেন না ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের উপর একা বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নয়, সঙ্গে নির্ভরশীল সোনামুখী, পাত্রসায়র, জয়পুর, কোতুলপুর, ইন্দাস এলাকায় থাকা বিভিন্ন স্তরের হাসপাতাল। এর পাশাপাশি নার্সিংহোমগুলিকেও বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়।
এছাড়াও বিষ্ণুপুর মহকুমার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে বসবাসকারী মানুষজন ও থ্যালাসেমিয়া রোগীরা রক্তের ব্যাপারে এই ব্লাড ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল। সব মিলিয়ে এই ব্লাড ব্যাঙ্কে গড় রক্তের চাহিদা ৩০ ইউনিট। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে মজুত রয়েছে মাত্র সাত ইউনিট রক্ত।
জানা যাচ্ছে, অধিকাংশ গ্রুপের রক্তের ভাঁড়ার শূন্য। যার কারণে রোগীর ও রোগীর আত্মীয়রা হাজির হলেই তাঁদেরকে ডোনার আনতে বলা হয়েছে। যার জেরে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে রোগীদের। হাসপাতাল সূত্রে এ ও জানা গিয়েছে, সময় মতো রক্তের জোগান দিতে না পারায় বহু রোগীর অস্ত্রোপচার পিছিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। ব্লাড ব্যাঙ্কের দাবি, একটানা প্রবল গরমে এমনিতেই রক্তদান শিবির কম হয়েছে। তার উপর গত দেড় মাস ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্ব চলায় শিবিরের সংখ্যা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। সেই কারণেই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিষ্ণুপুর ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক জয়মাল্য ঘর বলেন, “এই মুহুর্তে রক্তের অবস্থা খুবই খারাপ। এখানে প্রতিদিন ২০টি করে থ্যালাসেমিয়া রোগী আসে। ডায়ালিসিস হয়। যার কারণে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। এত গরমে আমরা ব্ল্যাড ডোনেশন ক্যাম্প করতে পারিনি। তারপর আবার ভোট ছিল। ফলে গ্রামের মানুষ এই নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। যার কারণে এই দুর্দশা।”