Bankura Municipal Election: ‘বিক্ষুব্ধদের কোনও দরকার নেই দলে’ বলা তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রীকে ‘হেরো’ বলে কটাক্ষ দলেরই পুরপ্রধানের
Bankura: প্রাক্তন মন্ত্রীর সম্পত্তি নিয়ে কটাক্ষ করার পাশাপাশি তাঁকে 'হেরো নেতা' বলেও উল্লেখ করেন বিক্ষুব্ধ ওই তৃণমূল নেতার।
বাঁকুড়া: প্রার্থী তালিকা বেরোনোর পরই ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূলের একাশ দাঁড়িয়েছেন নির্দলে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দল। কিন্তু সে কথায় কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই তাদের। জমিয়ে করছেন প্রচার। আর এবার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নির্দল প্রার্থী হতেই তাঁকে মঞ্চ থেকে হুশিয়ারী প্রাক্তন মন্ত্রীর। ছেড়ে কথা বললেন না ওই প্রার্থীও। পাল্টা একের পর এক কটাক্ষ করতে থাকলেন তিনি।
এতদিন রাজনীতিতে দেখা যেত এক দল আর এখ দলের বিরুদ্ধে ভোটের আগে সরব হয়েছে। তবে এই বছরটা আলাদা। ভোট প্রচারে নিজের দলকেই আক্রমণ করলেন নির্দল প্রার্থী। বাঁকুড়ায় নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে এবার আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটতে শুরু করল তৃণমূল ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্য নেতৃত্বের সুরে গলা মিলিয়ে সোমবার তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া পুরসভার প্রাক্তন উপ পুরপ্রধানকে কার্যত হুঁশিয়ারী দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। মঙ্গলবার তার জবাব দিলেন উপপ্রধান। প্রাক্তন মন্ত্রীর সম্পত্তি নিয়ে কটাক্ষ করার পাশাপাশি তাঁকে ‘হেরো নেতা’ বলেও উল্লেখ করেন বিক্ষুব্ধ ওই তৃণমূল নেতার।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া পুরসভায় হবে ভোটগ্রহণ। হাতে সময় দু সপ্তাহেরও কম। এই অবস্থায় প্রচারের অস্ত্রে শান দিচ্ছে শাসক বিরোধী সব শিবির। তার মাঝেই আক্রমণ পালটা আক্রমণে সরগরম বাঁকুড়ার রাজনীতি। গতকাল বাঁকুড়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কাকলী দত্তর সমর্থনে রবীন্দ্র সরণাী এলাকার দলীয় কার্যালয়ের একটি সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। সেখানে তিনি অন্যান্য বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীর পাশাপাশি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী তথা বাঁকুড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়ালকে কার্যত হুশিয়ারি দেন। বলেন, “নির্দল হিসাবে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা দলে থেকে পাঁচ বছর খেয়েছে, পরেছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল না করলে তাঁদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। চার পুরনিগমের ফলাফল বুঝিয়ে দিয়েছে এই নির্দলদের কোনও দরকার নেই দলের।”
এরপরই আসরে নামেন প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল। সোজা-সাপটা বলেন, “প্রাক্তন মন্ত্রী এখন জয়পুর ও কোতুলপুরে নিজের এলাকায় জায়গা পাচ্ছেন না। তিনি হেরো নেতা। বাঁকুড়া শহরে তিনি নিজে অট্টালিকা তৈরি করেছেন। নেত্রীকে ভালোবেসে দলের জন্য আমি যা করেছি তা খুব কম তৃণমূল নেতা করেছেন।” নির্দল প্রার্থীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, “দিলীপ আগরওয়াল এখন দলে নেই। তিনি উলটো পালটা অভিযোগ করতেই পারেন।”