Murder in Bankura: রাতভর ছিলেন ডিউটিতে, সকালে নাইট গার্ডের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ব্যাপক চাঞ্চল্য বাঁকুড়ায়
Murder in Bankura: রবিবার সকালে পাতাকোলা এলাকায় রক্তাক্ত মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় নাজু দাললকে। এই খবর চাউর হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাঁকুড়া: রাতেই এলাকার মন্দিরের কাছে নাইট ডিউটিতে ছিলেন। সেই জায়াগা থেকেই সকালে উদ্ধার হল নাইট গার্ডের রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর শোরগোল বাঁকুড়ার (Bankura) পাতাকোলা এলাকায়। ক্ষোভের বাতাবরণ এলাকায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতের ছেলে। জানা গিয়েছে নাজু দালাল নামে প্রায় বছর ৬৫ বয়সের ও প্রৌঢ় দীর্ঘদিন থেকেই এলাকায় নৈশ প্রহরীর কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি কেঠারডাঙ্গা এলাকায়। শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
রবিবার সকালে পাতাকোলা এলাকায় রক্তাক্ত মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় নাজু দাললকে। এই খবর চাউর হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাতাকোলা দ্বারকেশ্বর সেতুর উপর জাতীয় সড়ক অবরোধও করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুুলিশ বাহিনী।
এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, “ও রোজই কাজে যায়। কালও গিয়েছিল। ফোন করছিলাম ওকে অনেকবার। কিন্তু, ফোনটা তুলছিল না। এদিকে কদিন আগে এখানের শ্মশানে ঝামেলা হয়েছিল। তারপর রাতে ওর এখানেই মন্দিরে ডিউটি ছিল। এর মধ্য়েই তো এ ঘটনা ঘটে গেল।”
ঘটনায় মৃতের ছেলে বলছেন, “বাবা অনেকদিন থেকেই নাইট গার্ডের কাজ করেন। এলাকার অনেক জায়গাতেই রাতে পাহারা দেওয়ার কাজ করেন। এদিনও ডিউটিতেই ছিলেন। ডিউটিতে থাকাকালীন বাবার সঙ্গে এটা ঘটেছে। আমার দাদার কাছে আগে খবরটা গিয়েছিল। ওর কাছ থেকেই জানতে পারি বাবাকে কে বা কারা খুন করে এখানে ফেলে রেখে গিয়েছে। পুলিশ এসেছে। কিন্তু, পুলিশও কিছু বুঝতে পারছে না। রাতে তো এখানে পুলিশ ঘোরাফেরা করে। তারপরেও কী করে এ ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।”