Subhas Sarkar: ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলে গোয়া যেতেই পারেন, কিন্তু কাজে লাগবে না!
Bankura: তিনি বলেন,"সে রাজ্যে তৃণমূলের কোনও বেস নেই। "
বাঁকুড়া: গোয়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আসন্ন লোকসভা ভোটে যে এক ইঞ্চিও জমি তিনি ছাড়বেন না তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই সফরকে কেন্দ্র করে। এদিকে,তাঁর এই সফরকে ক্রমাগত তীর্যক মন্তব্যে বিঁধছে রাজ্য বিজেপি। বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন,” কোনও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর ভ্রমণের ইচ্ছে থাকলে তিনি গোয়া যেতেই পারেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোনও কাজে লাগবে না। কারণ সে রাজ্যে তৃণমূলের কোনও বেস নেই। ”
আজ বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে দলীয় একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপি নেতা। সেখান থেকে তিনি বলেন,”এই রকম বাসনা মাননীয়ার আগেও হয়েছিল। কিন্তু লাভ নেই। আমার মনে হয় এই সময়টা রাজ্যে প্রাশাসনে ব্যায় করলে ভালো হতো। মানুষ সুশাসন পেতো। ”
একই সঙ্গে স্কুল খোলা নিয়েও শাসক দলকে আক্রমণ করেন এই রাজনীতিবীদ। তাঁর বক্তব্য়, “শিক্ষা বিষয়টি রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ তালিকায় রয়েছে। কিন্তু আমাদের রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কোনও উপদেশ মানে না। এখনও পর্যন্ত তেরোটি অ্যাডভাইজারি দিয়েছে কেন্দ্র। তার একটাও ফলপ্রসূ করেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যেখানে দেশের সমস্ত রাজ্য কেন্দ্রের শিক্ষা দফতরের উপদেশ মেনে তা ফলপ্রসূ করেছে সেখানে এই রাজ্য ব্যতিক্রম।”
রাজ্যে স্কুল খোলা নিয়েও মতমত দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলেন,” ২৮ তারিখে সার্কুলার ইস্যু করে ৩১ তারিখের মধ্যে কীভাবে স্কুল পরিস্কার হবে? তাছাড়াও স্কুল কর্তৃপক্ষ সকলের ভ্যাকসিন হয়েছে কিনা তারও কোনও সুস্পষ্ট তালিকা নেই রাজ্য সরকারের কাছে। পাশাপাশি পড়ুয়ারা যে স্কুলে যাবে তার জন্য আদৌ পর্যাপ্ত যানবাহন রয়েছে কিনা তাও দেখে নেওয়া হয়নি । ”
প্রসঙ্গত, উত্তর পূর্বের পাশাপাশি দেশের পশ্চিম প্রান্তে সংগঠন তৈরিতে মরিয়া তৃণমূল। নতুন ভোরের আশ্বাস যে কেবলমাত্র স্লোগানে আটকে নেই, সেকথা স্পষ্ট তৃণমূল সুপ্রিমোর কন্ঠে। তা স্পষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতেও। শুক্রবার একের পর এক অনুষ্ঠান ঘিরে দিনভর ব্যস্ত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোয়া থেকে মমতার ঘোষণা, “আমি তোমাদের বোন। তোমাদের রাজ্য দখল করতে আসিনি।” বিজেপি (BJP)-কে আক্রমণের সঙ্গে নাম না করে কংগ্রেস (Congress) কে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী।
গোয়া প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্য, তিনি এখানে বহিরাগত নন। সবার বোন। বলেন, “আমি আগেও এসেছি। আমি তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ফিল্ম ফেস্টিভেল উদ্বোধন করতে। পরে কংকন রেলওয়ের কাজে ও রেলমন্ত্রী হিসেবে এসেছি। আমি শুধু রাজনীতি করতে আসিনি। আমি রাজ্যের উন্নয়নের জন্যও এসেছি।”
আরও পড়ুন: Alapan Bandopadhyay: হাইকোর্টে স্বস্তি আলাপনের, CAT-র মামলা সরানোর আর্জি খারিজ