Bankura Weather: একদিনে পারদ নামল প্রায় ৭ ডিগ্রি, ‘উষ্ণতম’ বাঁকুড়ায় ‘বৃষ্টির বিশ্বাস’!
Bankura Weather: গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছিল বাঁকুড়া জেলা। বিশ্বের সর্বাধিক উষ্ণ শহরের তালিকায় সম্প্রতি স্থান পায় বাঁকুড়া।
বাঁকুড়া : মাটি তো নয় যেন গনগনে কড়াই! হাওয়া যেন আগুনের আঁচ। তেতেপুড়ে অস্থির হয়ে যাচ্ছিল পোড়ামাটির জেলা বাঁকুড়া। এসি, ফ্যান কোনও কিছুই যেন যথেষ্ট নয়। ৪০-এর নীচে নামা তো দূরের কথা, ৪৪-এর আশপাশেই ঘোরাফেরা করছিল তাপমাত্রার পারদ। শুক্রবার দুপুরে আচমকা হাওয়া বদল। বিশ্বের উষ্ণতম শহরের তালিকায় যে বাঁকুড়ার নাম উঠেছিল, সেই জেলাতেও মুখ ঢাকল সূর্য। ভরদুপুরে শীতল হাওয়া! যে স্বপ্নের মতো ঠেকছে বাসিন্দাদের কাছে। বৃষ্টি নামুক না নামুক, মেঘলা আকাশেই সন্তুষ্ট বাসিন্দারা। দুপুরে তাপমাত্রার পারদও অনেকটাই নীচে নেমে যায়।
শুক্রবার গোটা রাজ্যেই আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গেই তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৩ ডিগ্রি। শুক্রবার দুপুরে সেই তাপমাত্রা নেমে যায় ৩৫.৮ ডিগ্রিতে। বাঁকুড়া জেলায় এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থা বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৬.৮ ডিগ্রি কম।
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছিল বাঁকুড়া জেলা। বিশ্বের সর্বাধিক উষ্ণ শহরের তালিকায় সম্প্রতি স্থান পায় বাঁকুড়া। বাঁকুড়া শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছোঁয় দুদিন আগেই। সম্প্রতি এলডোরাডো ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সমীক্ষায় বিশ্বের উষ্ণতম শহরগুলির মধ্যে সপ্তম স্থানে উঠে আসে বাঁকুড়ার নাম।
তবে শুক্রবার এক লহমায় বদলে যায় আবহাওয়া। বেলা গড়াতেই আকাশ ঢেকে যায় মেঘে। অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা হাওয়াও অনুভূত হয় জেলা জুড়ে। তাপমাত্রা কিছুটা কমায় স্বস্তি ফেরে মানুষের।
বাঁকুড়ার আলো মণ্ডল বলেন, কয়েকদিন মুখ না ঢেকে বেরনো যাচ্ছিল না। এখন স্বস্তি পাচ্ছি। ঠান্ডা হাওয়াও অনুভূত হচ্ছে। রোদ কমেছে। তাঁর দাবি, এত গরম বোধ হয় আগে দেখেননি তিনি। আর এক বাসিন্দা হৈমন্তী জানান, গ্লাভস বা মাস্ক না পরে বেরনো যাচ্ছিল না রাস্তা। গাছপালাও মরে যাচ্ছিল। সেই রুক্ষ আবহাওয়া থেকে অবশেষে স্বস্তি পেতে চলেছেন বলেই দাবি হৈমন্তীর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বেশির ভাগ জেলায় ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে। শনিবার আরও খানিকটা কমবে। ২২ থেকে ২৫ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গাতেই ঝড় বৃষ্টি শুরু হবে। আপাতত কোথাও তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়নি।