Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: জেলা শাসকের ‘দুয়ারের’ কাছে রক্তমাখা পায়ের ছাপ! বাড়াচ্ছে আতঙ্ক

West bengal: ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তিস্তা উদ্যান।

Jalpaiguri: জেলা শাসকের 'দুয়ারের' কাছে রক্তমাখা পায়ের ছাপ! বাড়াচ্ছে আতঙ্ক
ভালুকের খোঁজে চলছে তল্লাশি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2021 | 6:11 PM

জলপাইগুড়ি: হাতির পর এবার ভাল্লুক। জেলায় যেন কমছে না বন্য প্রাণীদের দাপাদাপি। আজ ভাল্লুকের পায়ের ছাপ থেকে ত্রস্ত গোটা এলাকা।

মঙ্গলবার সকালে জেলাশাসকের বাংলো থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে তিস্তা উদ্যানে অজানা প্রাণীর পায়ের ছাপ দেখতে পান উদ্যানে কর্তব্যরত বনকর্মীরা। দুপুরে পায়ের ছাপটি পরীক্ষার পর বনকর্তাদের একাংশ নিশ্চিত প্রাণীটি ভাল্লুক।

এরপরই তার খোঁজে গোটা উদ্যান জুড়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। পাশাপাশি জেলা শাসকের বাংলোর ভিতরেও তল্লাশি চালান বন-কর্মীরা। যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রাণীটির হদিস করতে পারেনি বন-দফতর।

জলপাইগুড়ি তিস্তা উদ্যানে রক্তমাখা পায়ের ছাপটি যে ভাল্লুকের তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত বনকর্তারা। যদিও এব্যাপারে ক্যামেরা সামনে সরাসরি কিছু না জানালেও, সোমবার রাতে তিস্তা উদ্যানে ভাল্লুক এসেছিল তা ধরে নিয়ে আগামী কয়েকদিনের জন্য তিস্তা উদ্যান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদফতরের উদ্যান ও কানন শাখা। পাশাপাশি তল্লাশি জারি রাখতে তিস্তা উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় আরও কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা ও এলাকায় আরও কয়েকটি হ্যালোজেন লাইট আজকের মধ্যে লাগানোর নির্দেশ দেন বিভাগীয় বনাধিকারিক অঞ্জন গুহ।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি ডুয়ার্সে ভাল্লুক এসেছিল। যার মধ্যে একটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে এলাকাবাসী। তার দুদিন পর ফের আরও একটি ভাল্লুক উদ্ধার হয়। আর এতেই বনকর্তাদের সন্দেহ এই ভাল্লুকটি কোনও ভাবে দলছুট হয়ে কয়েকদিন ধরে তিস্তা পারের নির্জন এলাকায় ঘোরাফেরা করছে।

এর আগে গত ১৪ ই নভেম্বর তিস্তা পার ধরে জলপাইগুড়ি শহরে এসেছিল দুটি হাতি। তিস্তা পারে হাতির বিষ্ঠা বা প্রস্রাবের গন্ধ পেয়ে সেই পথ অনুসরণ করে ভাল্লুকটি জলপাইগুড়ি শহরে এসে পড়তে পারে বলে অনুমান বনকর্তাদের। তাই যে কোনও ভাবে ভাল্লুকটিকে খুঁজে পেতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো বনদফতর।

অপরদিকে কচিকাঁচাদের নিয়ে তিস্তা উদ্যানে বেড়াতে এসেছিল বেশ কিছু পরিবার। কিছু পরিবার এসেছিল ভাল্লুক দেখতে। কিন্তু ভাল্লুকের আতঙ্কে পার্ক বন্দ থাকায় তারা পার্কে ঢুকতে পারেনি। ফলে তারা বাড়ি ফিরে যায়।

ঘটনায় বনদপ্তরের উদ্যান ও কানন শাখার বিভাগীয় বনাধিকারিক অঞ্জন গুহ বলেন পাগ মার্ক দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটি ভাল্লুকের পায়ের ছাপ হতে পারে। তাই নিশ্চিত হবার জন্য পাগ মার্কের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই আমরা পার্কে আসা মানুষ জনের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও খামতি রাখতে চাইছি না। তাই আরও সিসিটিভি ক্যামেরা এবং আরও লাইট লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুততার সাথে সেগুলি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসাথে তল্লাশিও চলবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন: Corona Vaccine: সিংহভাগ মানুষ নিচ্ছেন না করোনার দ্বিতীয় ডোজ়! কেন মুখ ফেরাচ্ছেন তাঁরা?