Bengal Corona: ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ, করোনায় আক্রান্ত আরও এক তৃণমূল প্রার্থী

তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত প্রার্থী ছাড়াই কীভাবে প্রচার চালানো যায় তা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রচার বন্ধ হবে না। প্রসঙ্গত, ২০১৬-র নির্বাচনে ক্যানিং-এ প্রার্থী ছিলেন শ্যামল মণ্ডল। বিদায়ী বিধায়ক শ্যামল এ বার প্রতিবেশী কেন্দ্র বাসন্তীর প্রার্থী। সেখানে পরেশ দাপুটে নেতা হলেও প্রার্থী পদে নতুন। তাই কিছুটা হলেও শঙ্কিত ঘাসফুল শিবির।

Bengal Corona: ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ, করোনায় আক্রান্ত আরও এক তৃণমূল প্রার্থী
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 18, 2021 | 12:28 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোটমুখী বঙ্গে লাগামহীন করোনা (Corona)। রোজই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হার। ভারতে গত তিন দিন ধরে সংক্রামিত হয়েছেন তিন লক্ষের বেশি মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, ১৭ এপ্রিল করোনায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ৮০০ জন। একদিনে রাজ্যে নতুন করে কোভিড (COVID-19) আক্রান্ত হয়েছেন ৭হাজার ৭১৩ জন। সর্বাধিক সংক্রমণ দেখা দিয়ছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। কিন্তু তারপরেও চলছে জমায়েত-মিটিং-মিছিল। এই পরিস্থিতিতে, করোনায় আক্রান্ত হলেন আরও এক তৃণমূল (TMC) প্রার্থী পরেশরাম দাস। তিনি ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী।

পরেশরাম বাবু নিজেই তাঁর সোশ্যাল হ্যান্ডেলে করোনা (Corona) আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ”শরীরটা খারাপ, তাই আজ ক্য়ানিং হাসপাতালে করোনা টেস্ট করালাম এবং রিপোর্ট পজিটিভ..ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেলফ আইসোলেশনে আছি..প্লিজ সবাই মাস্ক ব্যবহার করুন।”

Paresh Das Tests Positive

ছবিসূত্র: ফেসবুক

তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল (TMC) যুব সভাপতি তথা ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লা ও পরেশরাম দাস  দু’জনেই গিয়েছিলেন ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজে। সেখানে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা দেখে আসেন তাঁরা। তারপরেই, অসুস্থ বোধ করতে থাকেন পরেশ। শুক্রবার তাঁকে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পাশাপাশি, অন্য তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লাও একান্তবাসে (Isolation) আছেন বলেই জানা গিয়েছে।

কিন্তু, নির্বাচনের প্রার্থীর করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রচার চলবে কী করে? তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত প্রার্থী ছাড়াই কীভাবে প্রচার চালানো যায় তা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রচার বন্ধ হবে না। প্রসঙ্গত, ২০১৬-র নির্বাচনে ক্যানিং-এ প্রার্থী ছিলেন শ্যামল মণ্ডল। বিদায়ী বিধায়ক শ্যামল এ বার প্রতিবেশী কেন্দ্র বাসন্তীর প্রার্থী। সেখানে পরেশ দাপুটে নেতা হলেও প্রার্থী পদে নতুন। তাই কিছুটা হলেও শঙ্কিত ঘাসফুল শিবির। যদিও, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, করোনা হোক বা বিপর্যয়, তৃণমূলকে কেউ হারাতে পারবে না।