করোনা আবহে রক্তসংকট মেটাতে উদ্যোগী বিধায়ক, ছুটির রবিবারে চলল রক্তদান শিবির

সোনারপুর উত্তরে ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে চালু হয়েছে 'আশ্বাস প্রকল্প'। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে করোনা রোগীর বাড়ি অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, এসবই চলছে আশ্বাস প্রকল্পের হাত ধরে।

করোনা আবহে রক্তসংকট মেটাতে উদ্যোগী বিধায়ক, ছুটির রবিবারে চলল রক্তদান শিবির
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 23, 2021 | 2:34 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: করোনা মোকাবিলায় রক্তসংকট কাটাতে উদ্য়োগী খোদ বিধায়ক। সোনারপুর উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসি বেগমের উদ্যোগে ছুটির রবিবারে শুরু হল রক্তদান শিবির (Blood Donation Camp)। রবিবার, নরেন্দ্রপুর কামাল গাজী ব্রিজের নিচে এই রক্তদান অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন বিধায়ক। এই রক্তদান শিবিরে স্বেচ্ছায় পঞ্চাশ জন রক্তদাতা রক্ত দিলেন।

করোনার (Corona) দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে উঠে পড়ে লেগেছে রাজ্য সরকার। করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের জেরে একদিকে ভয় ধরাচ্ছে অক্সিজেন সংকট। পিছিয়ে নেই রক্ত সংকটও। এ বার, সেই সংকট কাটাতেই বিশেষ উদ্যোগ নিলেন তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম। রবিবার কামালগাজিতে হেল্থ বাসেই কোভিড বিধি মেনে চলল রক্তদান শিবির। এদিন, মোট পঞ্চাশ রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্ত দিলেন। রক্ত সংকট (Blood Deficiency) মেটাতে পরবর্তীতে আরও মানুষ এগিয়ে আসবেন বলেই মনে করেন তৃণমূল বিধায়ক। ফিরদৌসি জানান, সোনারপুর উত্তরে এটি প্রথম রক্তদান শিবির। তাই হেল্থ বাসই ভরসা। এরপর থেকে যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালেই রক্তদান শিবির করা হবে। ফিরদৌসি আরও বলেন, “আমরা এর আগে অক্সিজেন পার্লার করেছি। এ বার রক্তদান শিবির করছি। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। সেইজন্য সমস্ত সদর্থক পদক্ষেপ আমরা করব।”

প্রসঙ্গত,  এর আগে সোনারপুর উত্তরে ইতিমধ্যেই তৃণমূল (TMC) বিধায়কের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘আশ্বাস প্রকল্প’। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে করোনা রোগীর বাড়ি অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, এসবই চলছে আশ্বাস প্রকল্পের হাত ধরে। পাশাপাশি, রবিবার থেকেই সোনারপুর দক্ষিণে বিধায়ক লাভলী মৈত্রের (Lovely Maitra) উদ্যোগে শুরু হয়েছে  ‘দুয়ারে অক্সিজেন’ প্রকল্প। যার সাহায্য়ে, করোনা রোগীর বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে অক্সিজেন সিলিন্ডার।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,৮৬৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫৪ জনের। সেখানে গতকাল এই সংখ্যাগুলি ছিল যথাক্রমে ১৯,১৪৭ ও ১৫৯। মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ডিসচার্জ রেট ৮৮.৩২ শতাংশ। এই নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১২ লাখ ৪৮ হাজারেরও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০২ জন। রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৮৮।

আরও পড়ুন: বাড়ির ‘দুয়ারে অক্সিজেন’, সৌজন্যে সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলী মৈত্র