Cow Smuggling Case: এবার ৪০৯! বাংলাদেশে পাচারের আগেই কেষ্টহীন বীরভূম থেকে উদ্ধার গরু
Cow Smuggling Case: প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় আপাতত তিহাড়েই ঠাঁই হয়েছে দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দাদের র্যাডারে রয়েছেন আরও কয়েকজন। তবে অনুব্রতর গ্রেফতারির পর একদিকে যেমন সক্রিয় হয়েছে পুলিশ। তেমনই পাচারের কায়দা পাল্টেছে পাচারকারীরা।
নলহাটি: নলহাটির পর এবার রামপুরহাট। আবার গরু উদ্ধার বীরভূমে। এবার ২০৮টি গরুকে পাচারের আগেই উদ্ধার করল পুলিশ। এই নিয়ে একদিনে ৪০৯টি গরু উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই গরুগুলিকে ঝাড়খন্ডের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই গরুগুলিকে আনা হচ্ছিল রামপুরহাট এবং নলহাটিতে। এই দুই জায়গায় দু’টি গরুর হাট রয়েছে। সূত্রের খবর, গরুর হাট থেকে গরুগুলিকে মারগ্রাম হয়ে কখনও মুর্শিদাবাদ কখনও মালদহে পাচার করা হয় বাংলাদেশ। এ দিনও, গরুগুলিকে পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে অনুমান পুলিশের।
প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় আপাতত তিহাড়েই ঠাঁই হয়েছে দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দাদের র্যাডারে রয়েছেন আরও কয়েকজন। তবে অনুব্রতর গ্রেফতারির পর একদিকে যেমন সক্রিয় হয়েছে পুলিশ। তেমনই পাচারের কায়দা পাল্টেছে পাচারকারীরা। পাল্টে ফেলেছে পাচারের রাস্তা। মূলত, ইলামবাজার গরুর হাট থেকে আগে বাংলাদেশে পাচার হতো গরু। এখন রাস্তা ইলামবাজার নয় রামপুরহাট এবং নলহাটি হয়ে বাংলাদেশ। ট্রাকে করে গরু নিয়ে যাওয়া সমস্যায় ফেলছে পাচারকারীদের। কারণ মাথার ওপর চোখ রাঙাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ও পুলিশ। সে কারণেই জঙ্গলের রাস্তা ও মেঠো পথ ধরে হেঁটে গরু পাচারী এখন চলছে জেলা সর্বত্র বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর রামপুরহাটের সইপুরে প্রায় পঞ্চাশটি গরু পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই সময় গ্রামবাসীরা তিনজনকে আটক করে রামপুরহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর ওই মাসের ২০ তারিখ ১২টি গরু পাচার হতে-হতে আটকায় পুলিশ। ২৮ অক্টোবর আবার গরুপাচারকারীকে গ্রেফতার করে মল্লারপুর থানার পুলিশ। ১২টি গরুকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ৩০ নভেম্বর ২৩টি গরুকে পাচার করার হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। চলতি মাসের ১ তারিখ ২৭টি গরুকে পাচার থেকে রোখে পুলিশ।