Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাবা-মা করোনা আক্রান্ত, রেড ভলান্টিয়ার্সের সঙ্গে কাজে ব্যস্ত পাঁচ বছরের গোলু

অতিমারি কাটিয়ে সমাজ সুস্থ হয়ে উঠুক, সুস্থ হয়ে উঠুক তাঁর বাবা-মা, এটাই গোলুর চাওয়া। খাবারের প্যাকেটের উপর তাঁর লেখা এই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে আশেপাশের করোনা আক্রান্তদের বাড়ি।

বাবা-মা করোনা আক্রান্ত, রেড ভলান্টিয়ার্সের সঙ্গে কাজে ব্যস্ত পাঁচ বছরের গোলু
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 23, 2021 | 7:34 PM

বীরভূম: করোনা (Corona) আক্রান্তদের জন্য একের পর এক খাবারের প্যাকেট তৈরি করছেন রেড ভলান্টিয়াররা (Red Volunteer)। আর সেই প্যাকেটের উপরে পাঁচ বছরের ছোট্ট গুলু মার্কার দিয়ে লিখে চলেছে ” Get well Soon”। অতিমারি কাটিয়ে সমাজ সুস্থ হয়ে উঠুক, সুস্থ হয়ে উঠুক তাঁর বাবা-মা, এটাই তার চাওয়া। খাবারের প্যাকেটের উপর তাঁর লেখা এই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে আশেপাশের করোনা আক্রান্তদের বাড়ি। ছোট্ট গোলুর বার্তা দেখে তাদের মুখেও হয়ত একচিলতে হাসি ফুটছে, দ্রুত সুস্থ হওয়ার মানসিক জোর পাচ্ছেন সবাই। এভাবেই রেড ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন পাঁচ বছর বয়সী মেয়েটি।

সুহাসিনী মজুমদার। বাড়ির সামেই তাকে ডাকে গোলু নামে। এই গোলুই যেন এখন বীরভূমের করোনা আক্রান্তদের কাছে অনুপ্রেরণা। শান্তিনিকেতনে থাকা গোলুর বাবা-মা দু’জনেই করোনা আক্রান্ত। এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। এদিকে গোলু কাজ করে চলেছে রেড ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে। তার একটিই চাওয়া, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক সবাই। আবার মাঠে খেলতে যাবে সবাই। আবার বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে যাবে সে।

অতিমারিতে ঘরবন্দি গোলুর দস্যিপনায় বাড়ির সবাই ছিল অতিষ্ঠ। কিছুতেই সে ঘরে থাকতে চায় না। বারবার তার প্রশ্ন, কেন মানুষ বাইরে বেরোচ্ছে না? সবাই কেন মাস্ক পরছে? স্কুল কেন বন্ধ? কেন আমি পার্কে যেতে পারছি না? বাড়ির লোক বোঝাতেন, এখন ‘ভয়ানক অসুখ’ চারদিকে। তার হাত থেকে বাঁচতে কেউ বাইরে বেরচ্ছে না। তাই সবাইকে মাস্ক পরতে হচ্ছে মুখে। তখন গোলুর পাল্টা, তাহলে আমার কী করা উচিত? কী করলে আবার সব আগের মতো হবে?

এহেন ছোট্ট মেয়েটির বাবা-মাও করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের কাছে যাওয়ার জন্য গোলু বারবার বায়না করে। বাড়ির অন্যরা তাকে বোঝায় এখন বাবা-মায়ের কাছে যাওয়া যাবে না। বাবা-মায়ের কাছে রেড ভলান্টিয়ার খাবার পৌঁছে দেবে। আর এই কথা শুনে তাঁর বায়না, সেও রেড ভলেন্টিয়ারদের সঙ্গে কাজ করবে।

শুধু নিজের বাবা-মা নয়, যাদের বাবা-মা এই ভয়ানক অসুখে আক্রান্ত সবার কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে সেও। খুদের আর্জি মেনে নিতে বাধ্য় হন মামা রিষভ মুখার্জি। আর গোলু শুরু করেছে রেড ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে খাবার প্যাকেট করা আর তার উপরে বার্তা লেখার কাজ। প্রত্যেকটা খাবারের প্যাকেটে তাঁর কাঁচা হাতে সে লিখে দিচ্ছে, ‘get well soon’।

আরও পড়ুন: ৮ দিনে পরিবারের ৩ সদস্যের মৃত্যু করোনায়, কোভিড যুদ্ধে জয়ী হয়েও একা ঈশানী

গোলুর মামা নিজেও রেড ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে কাজ করছেন। ভাগ্নিও এখন হাত মিলিয়েছে তাঁদের সঙ্গে।