Birbhum: ‘গ্রামবাসীরা কিছুটা কষ্ট পাক, তারপর ফের জল খাওয়াব’, অঞ্চল সভাপতির পদ হারাতেই জল বন্ধ করে হুঙ্কার তৃণমূল নেতার
Birbhum: পানিসাইল গ্রামে প্রায় ৯০০টি পরিবারের বাস। কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েতে আসা টাকায় গ্রামে পাইপলাইন বসিয়ে পানীয় জল সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছিল। টাইম কলেই খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা গ্রামে। তার মধ্যেই এ ঘটনা।
বীরভূম: অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তৃণমূল নেতাকে (Trinamool Leader)। আর তারপরই বন্ধ হয়ে গেল গ্রামের পানীয় জল। যা নিয়ে গ্রামের মধ্যে চাপানউতর তৈরি হলেও এ নিয়ে কেউ খুলতে নারাজ। ক্যামেরার বাইরে কেউ কেউ ক্ষোভ উগরে দিলেও কেউই অকপটে শাসকদলের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাইছেন না। কিন্তু, তাঁকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কারের পরেই যে পানীয় জল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তা নিজের মুখেই স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল নেতা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পানিসাইল গ্রামে।
এদিকে পানিসাইল গ্রামে প্রায় ৯০০টি পরিবারের বাস। কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েতে আসা টাকায় গ্রামে পাইপলাইন বসিয়ে পানীয় জল সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছিল। টাইম কলেই খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা গ্রামে। সূত্রের খবর, গ্রামেরই এক ব্যক্তি এই উদ্যোগে বড় দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তিনিই সাবমার্শিবল থেকে পাইপ লাইনের মাধ্য জল সরবরাহ করে আসছিেন। এ জন্য তিনি প্রতি বাড়ি থেকে ৮০ টাকা করে নিতেন বলে খবর। কিন্তু, দিন পনেরো আগে থেকে আচমকা তিনি সেই জল সরবরাহের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাতেই বিপাকে পড়েছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
সূত্রের খবর, যে ব্যক্তির কাঁধে জল সরবরাহের দায়িত্ব ছিল তিনি তৃণমূল নেতা আকবর আলমের বেশ ঘনিষ্ট বলে এলাকায় পরিচিত। এদিকে আকবর আলমের বিরুদ্ধে উঠেছে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ। সে কারণে ১২ অগস্ট অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে দল। এ বিষয়ে তাঁর স্পষ্ট কথা, “আমার সঙ্গে ওই লোকের খাতির রয়েছে। আমার পরিচয়ের সুবাদেই ও গ্রামে জল সরবরাহ করতো। এখন আমি নেই। সে কারণেই ও জল বন্ধ করে দিয়েছে।” তাঁর সাফ কথা, “গ্রামবাসীরা এবার খানিক কষ্ট পাক। তারপর আবার জল খাওয়ানো হবে।”