BJP Birbhum: ‘অবহেলিত বিজেপি’ কর্মীদের মিছিল কীর্ণাহারে, গোষ্ঠীকোন্দলের আঁচ
Birbhum: মধ্য প্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয় উদযাপনে শনিবার কীর্ণাহারে একটি বিজয় মিছিল করে দল। আর এই বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করেই সামনে উঠে আসে বিজেপির অন্দরের কোন্দলের ছবি। এই মিছিল যাঁরা করেছেন, তাঁরা নিজেদের অবহেলিত পুরনো বিজেপি 'কার্যকর্তা' বলে দাবি করেছেন।
বীরভূম: আগামী লোকসভা ভোটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বীরভূম জেলা। জেলার ২টি লোকসভা কেন্দ্র। ২টিই তৃণমূলের হাতে। তবে এখানে এতদিন শাসকদলের যিনি মূল ‘চালকশক্তি’ ছিলেন, সেই অনুব্রত মণ্ডল জেলে। বিরোধীরা চাইলেই শাসকের সেই ‘খামতি’কে শক্তি করতে পারে নিজেদের। কিন্তু বারবার এ জেলাতে বিজেপিও গোষ্ঠীকোন্দলের কাঁটায় দীর্ণ। বিজেপিরই একাংশের অভিযোগ, সংগঠনে নজর দেওয়ার থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা তুলতেই সময় কেটে যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের। বীরভূমের কীর্ণাহারে এবারও দেখা গেল বিজেপির অন্দরে দলাদলি।
মধ্য প্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয় উদযাপনে শনিবার কীর্ণাহারে একটি বিজয় মিছিল করে দল। আর এই বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করেই সামনে উঠে আসে বিজেপির অন্দরের কোন্দলের ছবি। এই মিছিল যাঁরা করেছেন, তাঁরা নিজেদের অবহেলিত পুরনো বিজেপি ‘কার্যকর্তা’ বলে দাবি করেছেন। সেখানে ছিলেন না বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডলও। যদিও তাঁর অনুপস্থিতিকে গোষ্ঠী কোন্দল হিসাবে দেখতে রাজি নন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সম্পাদক বিনয় ঘোষ।
বিনয় ঘোষ বলেন, “আমরা কাউকে এই মিছিলে নিমন্ত্রণ করে ডাকিনি। সবাই নিজে থেকেই এসেছেন। মূলত যারা অবহেলিত, যাদের দলে কোনও ক্ষেত্রেই ডাকা হয় না, অথচ নরেন্দ্র মোদীর অন্ধভক্ত তাঁরা সকলে এসেছেন। এটা মানতে কোনও দ্বিধা নেই দলে যাদের অবহেলা করা হচ্ছে, তাদেরই মিছিল ছিল এটা। বর্তমান যারা পদাধিকারী তারা আমাদের ডাকে না। আর আমরাও বর্তমানে দায়িত্বে থাকা অনেকের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহীও নই। তবে জেলা সভাপতির আসা বা না আসা নিয়ে বলতে পারব না।” যদিও এ নিয়ে জেলা নেতৃত্বর কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পেলেই তা যুক্ত করা হবে প্রতিবেদনে।