Poush Mela: পৌষমেলার মাঠ দিতে রাজি বিশ্বভারতী, তবে প্রশাসনকে মানতেই হবে এই সমস্ত ‘শর্ত’…

Bolpur: পরিবেশ আদালত যে শর্ত দিয়েছে, তা মানতে হবে। যেহেতু বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এই বছর পৌষমেলার আয়োজন করছে না, তাই কোনওরকম আইনি জটিলতা তৈরি হলে তার দায়ভার নিতে হবে জেলা প্রশাসনকেই। বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি মেনে করতে হবে মেলা। বিশ্বভারতীর নিয়ম অনুযায়ী মেলা হবে ৪ দিন। ৫ দিনের মাথায় মেলার মাঠ সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। ঠিক যেমন রায় রয়েছে পরিবেশ আদালতের।

Poush Mela: পৌষমেলার মাঠ দিতে রাজি বিশ্বভারতী, তবে প্রশাসনকে মানতেই হবে এই সমস্ত 'শর্ত'...
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2023 | 10:50 PM

বোলপুর: শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার কথা কে না জানে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট একে অপরের সহযোগিতা নিয়ে এই মেলার আয়োজন করে। তবে তিন বছর ধরে পৌষমেলা বন্ধ রয়েছে। প্রথমে করোনার প্রকোপ এবং তার পরের দু’বছরও পৌষমেলা হয়নি। সিংহভাগই এই মেলা বন্ধের কারণ হিসাবে ঠাওরান প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। তবে এবারও পৌষমেলা করতে পারছে না বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তবে অন্য পৌষমেলা হচ্ছে পূর্বপল্লির মাঠে। জেলা প্রশাসন এই মেলার ‘প্রস্তাবক’। বিশ্বভারতীর তরফে প্রেস বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেলার মাঠে মেলা হলেও বেশ কিছু শর্ত মানতেই হবে। যদিও বিশ্বভারতী বলছে এগুলিকে শর্ত না ভেবে বিশ্বভারতীর ‘অতীতের অভিজ্ঞতাজনিত উদ্বেগ’ বলে ধরলে ভাল হয়।

পরিবেশ আদালত যে শর্ত দিয়েছে, তা মানতে হবে। যেহেতু বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এই বছর পৌষমেলার আয়োজন করছে না, তাই কোনওরকম আইনি জটিলতা তৈরি হলে তার দায়ভার নিতে হবে জেলা প্রশাসনকেই। বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি মেনে করতে হবে মেলা। বিশ্বভারতীর নিয়ম অনুযায়ী মেলা হবে ৪ দিন। ৫ দিনের মাথায় মেলার মাঠ সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। ঠিক যেমন রায় রয়েছে পরিবেশ আদালতের।

বিশ্বভারতীর তরফে বলা হয়েছে, মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় বোলপুর মহকুমা প্রশাসনকে বহন করতে হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট কোনও ব্যয় বহন করবে না। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, এই মেলায় যেহেতু হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। সিংহভাগ মানুষই আসেন বাইরে থেকে। তাই মেলা চলাকালীন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপক অধ্যাপিকা , কর্মী-সহ সামগ্রিক নিরাপত্তার দিকটি সুনিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মেলা করতে গিয়ে বিশ্বভারতী সমস্যায় পড়েছিল। মেলা শেষই করতে রাজি হচ্ছিলেন না ব্যবসায়ীদের একাংশ। শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ পর্যন্ত জানাতে হয়। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছে না বিশ্বভারতী। বোলপুর মহকুমা প্রশাসন এই সমস্ত বিষয়গুলি সুনিশ্চিত করতে পারলে মাঠ দিতে আপত্তি নেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষেরও।