Bizarre Last Rite: হরিনাম নয়, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে শতায়ু বৃদ্ধার শেষকৃত্যে নাতিরা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সাঁইথিয়ার মল্লিকপুর গ্রামে চলছিল নবান্ন উৎসব। সে দিন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ১০৫ বছরের এক বৃদ্ধা। রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত বৃদ্ধার নাম আদুরী দাস। কিন্তু আদুরীর মৃত্যুর পর শোকে ভেঙে পড়েননি তাঁর পরিজনরা। উল্টে রীতিমতো উৎসবরে মেজাজে দেহ সৎকার করতে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।

Bizarre Last Rite: হরিনাম নয়, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে শতায়ু বৃদ্ধার শেষকৃত্যে নাতিরা
শেষকৃত্যের নাচImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2023 | 6:54 AM

সাঁইথিয়া: বাজছে বাজনা। ফাটছে বাজি। নাচতে নাচতে যাচ্ছেন সকলে। দেখে মনে হচ্ছে কোনও শোভাযাত্রা বের হয়েছে। কিন্তু তা নয়। আসলে শতায়ু বৃদ্ধার দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু হচ্ছে খোল বাজিয়ে না হরিনাম। বদলে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নাচতে নাচতে যাচ্ছেন শ্মশানযাত্রীরা। এই আজব দৃশ্যই রবিবার দেখা গিয়েছে বীরভূম জেলার সাঁইথিয়াতে। সেই ঘটনার ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে চলছে জোরদার চর্চাও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সাঁইথিয়ার মল্লিকপুর গ্রামে চলছিল নবান্ন উৎসব। সে দিন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ১০৫ বছরের এক বৃদ্ধা। রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত বৃদ্ধার নাম আদুরী দাস। কিন্তু আদুরীর মৃত্যুর পর শোকে ভেঙে পড়েননি তাঁর পরিজনরা। উল্টে রীতিমতো উৎসবরে মেজাজে দেহ সৎকার করতে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।

কিন্তু কেন এ রকম ভাবে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হল? এর কারণ হিসাবে আদুরীর এক নাতি জানিয়েছেন, প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলকায় এটি একটা প্রচলিত প্রথা। যদি ঠাকুমা-ঠাকুরদা বা দাদু-দিদিমা ১০০ বছরের বেশি বাঁচেন। তাহলে নাতি-নাতনিরা শোকে বিহ্বল না হয়ে বাজনা বাজিয়ে সৎকার করতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “১০০ বছর বাঁচা মানে পৃথিবীর অনেক কিছু দীর্ঘদিন ধরে দেখা। সব শখ-আহ্লাদ পূরণ করে নেওয়া। এই ভাবনা থেকেই শোক না করে আনন্দ করে নিয়ে যাওয়া হয়। সে জন্যই বাজনা বাজানো হয়েছে।” নবান্নের জন্য গ্রামে বাজনা থাকায়, তা জোগাড়েও বেগ পেতে হয়নি আদুরীর নাতিদের।