Bagtui Massacre: ‘আমি নির্দোষ, ষড়যন্ত্র হচ্ছে’, আদালতে যাওয়ার আগে বলে গেলেন আনারুল

Rampurhat Murder: এর কয়েকদিন আগে অর্থাৎ গতমাসে আনারুল হোসেন রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা চান।

Bagtui Massacre: 'আমি নির্দোষ, ষড়যন্ত্র হচ্ছে', আদালতে যাওয়ার আগে বলে গেলেন আনারুল
আনারুল হোসেন। (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 1:49 PM

বগটুই: বগটুইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে বুধবার ফের তোলা হল রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা এজলাসে। এদিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ আনারুলকে নিয়ে আসা হয় আদালতে। তাকে পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর অনুমতি চেয়ে আগেই আদালতের কাছে আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদনেরই শুনানি আজ। তবে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে এদিন ফের নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করতে থাকেন অভিযুক্ত। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, “আমি নির্দোষ। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।”

এর কয়েকদিন আগে অর্থাৎ গতমাসে আনারুল হোসেন রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা চান। রামপুরহাট আদালতে এই বিষয়ে আবেদন জানান আনারুল হোসেনের আইনজীবী। বগটুইকাণ্ডে জেল হেফাজতে থাকা আনারুল হোসেনকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেওয়া হবে কি না তা জানার জন্য সিবিআইয়ের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে রামপুরহাট আদালত। আনারুলের সামাজিক পরিচয় জানতে চেয়েছেন বিচারক। সূত্রের খবর, আগামী দু’ সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

জেলবন্দিদের সমাজে কী অবদান তার উপর নির্ভর করে বন্দির মর্যাদা দেওয়া হয়। আদালতে আনারুল হোসেনের আইনজীবী এই বিষয়টি তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, আনারুল হোসেনকে সিবিআই তৃণমূলের একজন নেতা হিসাবে দেখাচ্ছে। অথচ তাঁকে সাধারণ বন্দির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হিসাবে আনারুলের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তাই তাঁর আইনজীবী আদালতে আর্জি জানান, আনারুলকে প্রথম শ্রেণির বন্দি ঘোষণা করা হোক।

বগটুইকাণ্ডের সঙ্গে ভাদু শেখের খুনের সরাসরি যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট তাই ভাদু শেখের খুনের তদন্তও সিবিআইকে দিয়েছে। সিবিআই ইতিমধ্যেই এফআইআর করেছে। রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে নথি চাওয়াও হয়। পাশাপাশি জেলা পুলিশ যাদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে তাদেরও নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।

বস্তুত, ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভাদু শেখকে। সেই খুনের বদলা নিতে বগটুই গ্রামে ১০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে আটজনের পোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়। দিন কয়েক পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়। দীর্ঘ একমাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর গত ১ মে মৃত্যু হয় আরও একজনের। গণহত্যায় এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ১০।