Bagtui Massacre: বগটুইকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৭, ধৃতদের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ
Bagtui Massacre: ২১ মার্চ বগটুই গণহত্যা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে সিবিআই। এরপর ধৃতদের যোগ থাকার সূত্র খুঁজে পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
বগটুই: বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। মঙ্গলবার ধৃতদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম নুর আলি শেখ, শের আলি শেখ, বিকির আলি শেখ, আসিফ শেখ, জসিফ শেখ, সাইদুল শেখ, ও জামিনুল শেখ। তদন্তে ধৃতদের যোগ থাকার সূত্র খুঁজে পায় সিবিআই । সোমবার বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সিবিআই ।
২১ মার্চ বগটুই গণহত্যা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে সিবিআই। এরপর ধৃতদের যোগ থাকার সূত্র খুঁজে পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। গতকাল বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সিবিআই।
উল্লেখ্য, ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভাদু শেখকে। সেই খুনের বদলা নিতে বগটুই গ্রামে ১০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে আটজনের পোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়। দিন কয়েক পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর এলাকা পরিদর্শনে পৌঁছন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সাহায্য ও চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
এর আগে সিবিআই চার্জশিটে আনারুল হোসেনকে বগটুই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড বলে উল্লেখ করে।সিবিআই-এর বক্তব্য, আনারুলের উস্কানিতেই গ্রামে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছিল। সিবিআই-এর বক্তব্য, ভাদু শেখ খুনের পর আনারুলই রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়ে গ্রামবাসীদের উস্কে দিয়েছিল। সেই উস্কানির পরেই বোমা-লাঠি, পেট্রোল নিয়ে গ্রামের দিকে যায় উন্মত্ত জনতা। চলে ভাঙচুর, আগুন লাগানো।