CBI Raid: এবার বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে সিবিআই অভিযান, খতিয়ে দেখছে নথি
Birbhum News: এই অফিসে মূলত বোলপুর বা সংলগ্ন এলাকার যে সমস্ত জমি কেনাবেচা হয়, সেই জমি সংক্রান্ত যাবতীয় যা নথিপত্র তৈরি করা বা রেজিস্ট্রি, তা এখান থেকে হয়।
বীরভূম: এবার বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে সিবিআই অভিযান। বোলপুর নেতাজিনগর এলাকার জমি রেজিস্ট্রি অফিসে মঙ্গলবার সকালে পৌঁছন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই কর্তা। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের নামে থাকা সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য জানতেই এই অভিযান। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে পৌঁছয় তারা। এই অফিসে মূলত বোলপুর বা সংলগ্ন এলাকার যে সমস্ত জমি কেনাবেচা হয়, সেই জমি সংক্রান্ত যাবতীয় যা নথিপত্র তৈরি করা বা রেজিস্ট্রি, তা এখান থেকে হয়। এই রেজিস্ট্রির সময় যাঁর কাছ থেকে জমি কেনা হচ্ছে তাঁকেও উপস্থিত থাকতে হয়, যিনি কিনছেন তিনিও থাকেন। এবার সেখানেই হানা তদন্তকারীদের।
সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের নামে কোথায় কোন সম্পত্তি রয়েছে এবং কোন সম্পত্তি কার কাছ থেকে কেনা, কত টাকায় সেই সম্পত্তি কেনা হয়েছিল সেই সংক্রান্ত তথ্য জানার চেষ্টা যেমন তদন্তকারীরা করবেন। একইসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয়দের নামে যে সম্পত্তি আছে কিংবা সায়গল হোসেনের সম্পত্তির বিস্তারিতও জানারও চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।
এই দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “এখানে কেউ জমি কিনলে তার রেজিস্ট্রি হয়। যার কাছ থেকে জমি কিনছেন যিনি কিনছেন সবই থাকবে দলিলে। থানা, মৌজা, খতিয়ান, পরিমাণ, দাগ, কত ফুট রাস্তা, দাগের চৌহদ্দি, কে কিনছেন, কে বিক্রি করছেন সবই থাকে। কত সালে কেনা হচ্ছে, কত টাকায় কেনা হচ্ছে সব থাকে।” একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তথ্যও তুলে ধরেন এই আধিকারিক। তিনি জানান, “জমি কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাকে জমি রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত থাকলেও হয় না থাকলেও হয়। তবে যিনি বিক্রি করবেন তাঁকে উপস্থিত থাকতেই হবে।” জমি রেজিস্ট্রি অফিস থেকেই জানা গিয়েছে, কোনও জমি সম্পর্কে তথ্য জানতে হলে এই অফিসে এসে মৌজা ও দাগ নম্বর দিয়ে সার্চিং ফর্ম ভর্তি করতে হবে। তার পর তা জমা পড়বে অফিসে।