Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bagtui Massacre: মমতার নির্দেশে চাকরি মিলেছিল, BJP করাতেই কি বেতন বন্ধ মিহিলালের?

Mihilal Sheikh: মুখ্যমন্ত্রী গতবছর বগটুই গ্রাম পরিদর্শন করে যাওয়ার পর চাকরি পেয়েছেন মিহিলালও। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তারপর থেকেই বেতন মিলছে না বলে অভিযোগ বগটুইকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী মিহিলালের। তাঁর অভিযোগ, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে প্রায় আট মাস ধরে তিনি বেতন পাচ্ছেন না।

Bagtui Massacre: মমতার নির্দেশে চাকরি মিলেছিল, BJP করাতেই কি বেতন বন্ধ মিহিলালের?
মিহিলাল শেখImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2023 | 4:27 PM

বীরভূম: বগটুই অগ্নিকাণ্ডের পর তড়িঘড়ি রামপুরহাটে ছুটেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি চাকরিও পেয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন মিহিলাল শেখও। মুখ্যমন্ত্রী গতবছর বগটুই গ্রাম পরিদর্শন করে যাওয়ার পর চাকরি পেয়েছেন মিহিলালও। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু তারপর থেকেই বেতন মিলছে না বলে অভিযোগ বগটুইকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী মিহিলালের। তাঁর অভিযোগ, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে প্রায় আট মাস ধরে তিনি বেতন পাচ্ছেন না। আক্ষেপের সুরে বললেন, “বেতন না পাওয়ার কারণে আমি প্রচণ্ড সমস্যায় আছি। আমি টানা ডিউটি করে যাচ্ছি। ডিউটিতে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। কিন্তু বেতন মিলছে না। এই নিয়ে আমি মহকুমাশাসক, জেলাশাসককেও জানিয়েছি।”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকেই বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল মিহিলালের। বগটুইয়ের ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের এক বছর পর চলতি বছরের মার্চে গ্রামে মৃতদের স্মৃতিতে শহিদ বেদী তৈরি হয়েছিল। সেখানে গিয়ে মাল্যদান করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিহিলালের দাবি, সেদিন থেকেই বিরোধী দলনেতা তাঁর প্রতি ভীষণ সহানুভূতিশীল। বিজেপির নীচুতলার কর্মীরাও তাঁর সুবিধা-অসুবিধার খবরাখবর নেন। কিন্তু শাসক দলের কোনও কর্মী-সমর্থক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না বলেই দাবি মিহিলালের। তাঁর সন্দেহ, “আমি বিজেপি করি বলেই আমার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় লেখালিখি করেও তো কোনও উত্তর পাচ্ছি না বেতন বন্ধের।”

মিহিলালের এই অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে। তিনি অবশ্য এই বিতর্কের মধ্যে ঢুকতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য,”উনি যখন মাইনে পাচ্ছিলেন, তখন কি আমাকে বলেছিলেন যে প্রতি মাসে মাইনে পাচ্ছেন? উনি কী করেন, কে মাইনে দেয়, কে মাইনে দেয় না… জানি না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে বুঝে নিক, কথা বলুক।” মিহিলালের বক্তব্য, মার্চ মাসে শুভেন্দু গিয়েছিলেন গ্রামে। তারপর থেকেই তাঁর বেতন বন্ধ। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে অবশ্য সাংসদ বলছেন, “শুভেন্দুকে বলে দিক না (মিহিলাল)। উনি যখন মনে করছেন, শুভেন্দুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বলে এটা হচ্ছে।”

সাংসদের বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বও। বিজেপি বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডলের দাবি, “মিহিলালের কোন দল ভাল লাগবে, কাদের সঙ্গে থাকবে, সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। কেউ কোন দল করবে, কার সঙ্গে যাবে, কার সঙ্গে যাবে না, সেটা বলে দেওয়ার কোনও অধিকার সাংসদের নেই। মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি এসে বিষয়টি ধাপাচাপা দিতে চেয়েছিলেন। তাঁদের মুখ বন্ধ করার জন্য চাকরি দেওয়া হয়েছিল।”