Birbhum News: স্বয়ং কেষ্টও যা পারেননি, এবার সেই মিরাকেলই করে দেখাল বীরভূম তৃণমূল
Birbhum: প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে অনুব্রত মণ্ডল থাকাকালীনও এই দুবরাজপুর বিধানসভায় জয়ের স্বাদ পায়নি তৃণমূল। লোকসভা তারা জিতলেও সিউড়ি, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট বিধানসভায় তৃণমূলকে হারতে হয়েছিল। আর এই বছর কেষ্টর অনুপস্থিতিতেই বীরভূম লোকসভার ৭টি বিধানসভাতেই জিতেছে তৃণমূল।

দুবরাজপুর: একটা সময় ছিল যখন নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মুখে নতুন-নতুন ‘দাওয়াই’ শোনা যেত। কখনও ‘চড়াম-চড়াম ঢার বাজানোর কথা বলতেন’ ‘কখনও বা গুড় বাতাসা’ দেওয়ার কথা। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় অনুব্রত জেলায় থাকতেও দুবরাজপুর বিধানসভাকে ‘বাগে’ আনতে পারেননি। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতিতেই সেই বিধানসভাতেই এ বছর বড় জয় পেল শাসক শিবির। আর সেই কারণে তাঁর দেখানো পথেই হাঁটলেন সেখানকার তৃণমূল কর্মীরা। বীরভূম লোকসভার অন্তর্গত দুবরাজপুর বিধানসভাতেও তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় আনন্দে গুড়-বাতাসা ও নকুল দানা বিলি তৃণমূল কংগ্রেসের।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে অনুব্রত মণ্ডল থাকাকালীনও এই দুবরাজপুর বিধানসভায় জয়ের স্বাদ পায়নি তৃণমূল। লোকসভা তারা জিতলেও সিউড়ি, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট বিধানসভায় তৃণমূলকে হারতে হয়েছিল। আর এই বছর কেষ্টর অনুপস্থিতিতেই বীরভূম লোকসভার ৭টি বিধানসভাতেই জিতেছে তৃণমূল। প্রার্থী শতাব্দী রায় পেয়েছেন ৭ লক্ষের বেশি ভোট। কার্যত এই আনন্দই আর ধরে রাখতে পারেনি শাসক দল।
কীভাবে হাতে এল দুবরাজপুর?
রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের ধারনা, এই বিধানসভায় জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল বিজেপি। ফলত প্রচার কম হয়েছে সেখানে। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় প্রথম দিন থেকেই পড়েছিলেন ময়দানে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে শুনেছেন গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগ। আশ্বাস সমস্যা সমাধানের। তাই সেই ম্যাজিকই এবার কাজ করল কি না তা যদিও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া হয়। এদিন শহর তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি নিয়ে গুড় বাতাস ও নকুলদানা সহ মহিলাদের হাতে প্রতীকী লক্ষীর ভাণ্ডার দিয়ে আনন্দে মাতলেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বলেন, “তৃণমূল জিতেছে। সেই কারণে সকলে সমবেত হয়ে এই জয় সেলিব্রেট করছি। আর অনুব্রতর নির্দেশ মতোই গুড় বাতাসা দিচ্ছি। যেহেতু এই জেলায় খুব গরম পড়ে সেই কারণে বাতাসা দিয়ে এনার্জি ফেরাতে চেয়েছি।”





