Birbhum TMC: ‘প্রশাসন সহযোগিতা না করলে লক্ষাধিক ভোটে হারবে তৃণমূল’, ভোটে জেতার কৌশল ফাঁস শাসকনেতার?
Birbhum TMC: দল বললেও প্রশাসনের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে নেগেটিভ কথা আসছে, এমনই অভিযোগ করেছেন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তাঁর আশঙ্কা প্রশাসনের সহযোগিতা না পেলে বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত হবে দল।
বীরভূম: কেষ্ট এখন তিহাড়ে। তাঁর গড়ে কি বেকায়দায় শাসকদল? অন্তত নেতৃত্বের অভিযোগে তেমনটাই প্রকাশ পাচ্ছে। ভোটের আগেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ বীরভূমের তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। দল বললেও প্রশাসনের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে নেগেটিভ কথা আসছে, এমনই অভিযোগ করেছেন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তাঁর আশঙ্কা প্রশাসনের সহযোগিতা না পেলে বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত হবে দল। জনগর্জন সভার প্রস্তুতি হিসাবে সিউড়ির সভায় উপস্থিত থেকে এমনই আশঙ্কা করলেন মলয়।
মলয় বলেন, “প্রশাসনকে নিয়েই কাজ করছিলাম বা করতে পারতাম। আজ কিন্তু তা করতে পারছি না। প্রতিনিয়ত পিছন থেকে টেনে ধরার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। প্রশাসন এতটুকুও সহযোগিতা করছে না। প্রশাসন যদি এইভাবে অসহযোগিতা করতে বীরভূমে তাহলে জেতা দু-দুটো সিট নির্বিকারভাবে লক্ষাধিক ভোটে হেরে যাব।” আর তাঁর এই বক্তব্য ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়। তবে কি তৃণমূলের জেতার কৌশল ফাঁস করে ফেললেন তৃণমূল নেতা? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
যদিও সভা শেষে মলয় মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি আদতে বোঝাতে চেয়েছেন প্রশাসনের কোনও কোনও কর্তা সহযোগিতা করছেন না। তিনি বলেন, “কথাটা আপনারা ঠিক উল্টোভাবে নিয়েছেন। গ্রামের তৃণমূল স্তরে যে লোকটি রয়েছে, তার মনে হয়েছে প্রশাসন তার পাশে থাকছে না। কোনও কোনও অফিসার, কোনও কোনও কর্তা সহযোগিতা করছে না বলে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না।”
এই নিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ” প্রশাসন মানে পুলিশকে কাজে লাগাতে হবে। পুলিশকে কাজে লাগানো মানে বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া করতে হবে। বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করতে হবে। ছাপ্পা ভোটে সহযোগিতা করতে হবে। এবার প্রশাসন কিছু চাইলেও পারবে না। কারণ এই রাজ্যে এই ভোট দিদির পুলিশ দিয়ে হবে না, দাদার পুলিশ দিয়ে হবে। ৬ ফুটের পুলিশ, পাঁচ ফুটের ডান্ডা।”