Anupam Hazra: মঞ্চ ভাঙচুরে ক্ষুব্ধ অনুপম, জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের উপর উগরে দিলেন ক্ষোভ

রামপুরহাটে বিজয়া সম্মিলনীর পাশাপাশি খয়রাশোলে একটি সভা করার কথা ছিল অনুপমের। কিন্তু খয়রাশোলের সভার অস্থায়ী মঞ্চ বুধবার ভাঙচুর করে এক দল দুষ্কৃতী। অনুপমের অভিযোগ, বীরভূমের বিজেপি জেলা সভাপতির ‘লেঠেল বাহিনী’ এই ভাঙচুর চালিয়েছে। এই সব ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বীরভূম বিজেপির অন্দরে।

Anupam Hazra: মঞ্চ ভাঙচুরে ক্ষুব্ধ অনুপম, জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের উপর উগরে দিলেন ক্ষোভ
বীরভূমে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল চরমে।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2023 | 7:07 PM

রামপুরহাট: লোকসভা ভোটের আগেই বীরভূমে বিজেপির দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এল। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। অনুপমের অভিযোগ, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী তাঁর স্নেহধন্যদের জেলার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। এবং তাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। রামপুরহাটে বিজয়া সম্মিলনীর পাশাপাশি খয়রাশোলে একটি সভা করার কথা ছিল অনুপমের। কিন্তু খয়রাশোলের সভার অস্থায়ী মঞ্চ বুধবার ভাঙচুর করে এক দল দুষ্কৃতী। অনুপমের অভিযোগ, বীরভূমের বিজেপি জেলা সভাপতির ‘লেঠেল বাহিনী’ এই ভাঙচুর চালিয়েছে। এই সব ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বীরভূম বিজেপির অন্দরে।

খয়রাশোলের সভায় ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে তাঁর উপরও আক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনুপম হাজরা। তাঁর সভামঞ্চ ভাঙচুরের জন্য নির্দিষ্ট করে অমিতাভ চক্রবর্তী, ধ্রুব সাহা এবং অনুপ সাহার নাম বার বার উঠে এসেছে তাঁর মুখে। এর পাশাপাশি রামপুরহাটে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক কিলোমিটার দূরত্বে একই দিনে দুটি বিজয়া সম্মিলনী হল বিজেপি-র। যা নিয়েও সুর চড়িয়েছেন অনুপম। তাঁর দাবি, তাঁর বিজয়া সম্মিলনীতে ভিড় বেশি। এবং বঞ্চিত বিজেপি কর্মীরা এসেছেন তাঁর অনুষ্ঠানে।

বুধবারে বীরভূমের এই সব ঘটনাক্রম নিয়ে ফেসবুকে একাধিক ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন অনুপম হাজরা। এ ছাড়াও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, “যাঁর বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, যাঁর সঙ্গে তৃণমূলের ফান্ড সরবরাহকারীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে, সেই ধ্রুব সাহার লেঠেল বাহিনী আমি পৌঁছবার আগেই আমার সভামঞ্চ ভাঙচুর করেছে। ধ্রুব সাহারা আসলে চায় না এদের সিন্ডিকেটের পর্দা ফাঁস হয়ে যাক। আমি রামপুরহাটে গিয়েছিলাম। সেখানেও দেখলাম অনেক কর্মীকে এরা বসিয়ে রেখেছে। একই সঙ্গে ২টো বিজয়া সম্মিলনী হল। একটি রামপুরহাট শহরে, একটি ধ্রুব সাহার অফিসে। যাঁরা বঞ্চিত, অবহেলিত আমার সভায় তাঁদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন। জেলায় জেলায় গিয়ে পদে নেই, বসে গিয়েছে, এমন কর্মীদের চাঙ্গা করতে। সেই কাজ আমি করে যাচ্ছি।”

অনুপমের তোলা অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ধ্রুব সাহা, অনুপ সাহা। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেছেন, “বিজেপির ঘরে ঘরে গৃহযুদ্ধ। দিলীপ বাবু যেখানে যাচ্ছে সেখানে গৃহযুদ্ধ। অনুপম যেখানে যাচ্ছে সেখানে গৃহযুদ্ধ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রমাণ হয়েই গিয়েছে। লোকসভায় ওরা গৃহযুদ্ধ করবে। মানুষ আমাদের জেতাবে। শূন্য হয়ে যাবে।”