Post Poll Violence: বিজেপি বুথ-সভাপতি মিঠুন বাগদি হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে ১

CBI:গত ১২ জুন বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের কাঁকড়তলা থানার অন্তর্গত নবসন গ্রামে বিজেপির বুথ সহ–সভাপতি মিঠুন বাগদি খুন হন

Post Poll Violence: বিজেপি বুথ-সভাপতি মিঠুন বাগদি হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে ১
হিংসা তদন্তে সিবিআই, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2021 | 1:24 PM

বীরভূম: ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে কাঁকরতলায় নবসন গ্রামে বিজেপি নেতা মিঠুন বাগদি খুনের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সিবিআই। মিঠুন বাগদি হত্যাকাণ্ডে এই প্রথম একজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এই খুনের ঘটনায়  মোট ১৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারমধ্যে  অশোক বাগদি নামে এক  ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

সিবিআই সূত্রে খবর, মিঠুন বাগদি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তের তালিকায় আগে থেকেই ছিলেন অশোক বাগদি। তদন্তে নেমে আগেই একাধিকবার অশোক বাগদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অবশেষে, অশোক বাগদিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সোমবার, ধৃতকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজত চাওয়া হলেও আদালতের তরফে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সিবিআই সূত্রে খবর, ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগদি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত লক্ষ্মী বাগদি ও অশোক বাগদির নারকো টেস্ট হতে পারে বা অন্য কোনও পদ্ধতিতে পরীক্ষা ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। আদালত যেন সেই আবেদন মঞ্জুর  করে, এমনটা আগেই জানা গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের কাঁকড়তলা থানার অন্তর্গত নবসন গ্রামে বিজেপির বুথ সহ–সভাপতি মিঠুন বাগদি খুন হন। সেই ঘটনার তদন্তে পুলিশ ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। কিছুদিন আগেই, দুবরাজপুর আদালতে আসার আগে সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা নবসন গ্রাম ঘুরে যান। মিঠুন বাগদি খুনের ঘটনায় গত ২৮ অগস্ট প্রথম সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল নবসন গ্রামে গিয়েছিলেন। স্থানীয় ও মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন গোয়েন্দারা।

বিধানসভা নির্বাচন আবহে নবসন গ্রাম থেকে ১০০ মিটার দূরে স্থানীয় যুবক রাজু বাগদির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন মৃত রাজু বাগদি তৃণমূলের কর্মী। সেই খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় বিজেপি বুথের সহ–সভাপতি মিঠুন বাগদির। গ্রেফতার হওয়ার তিন মাসের মধ্যে আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর মিঠুন গ্রামে এলে তাঁর উপর চড়াও হয় রাজুর পরিবার বলে অভিযোগ। তাঁকে রড, বটি, কাটারি দিয়ে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় মিঠুনের দেহ রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ নাকড়াকোন্দা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই মিঠুনের পরিবার সিবিআই তদন্তের আবেদন করেন। এরপর, কলকাতা হাইকোর্ট ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনাগুলির তদন্তের ঘটনাগুলি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার পর তদন্তে নামেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের তলব করা শুরু করল সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে মোট ৮৪ জন তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র মধ্যে ইন্সপেক্টর, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন কর্তা রয়েছেন এই দলে। জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি, এসপি পদমর্যাদার এই ২৫ জন অফিসার।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘ভয়ঙ্কর অন্যায় করেছিলাম’, ভুলের ‘মাশুল’ দিতে প্রস্তুত অনুব্রত!