World Heritage Site: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে বিশ্বভারতী, খুশি পড়ুয়া থেকে প্রাক্তনীরা

Visva Bharati: প্রসঙ্গত ২০২১ সালে ICOMOS এর প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতী আসেন। দুদিন ধরে তারা ঘুরে দেখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। এবং তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেইই ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত হতে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

World Heritage Site: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে বিশ্বভারতী, খুশি পড়ুয়া থেকে প্রাক্তনীরা
বিশ্বভারতীর প্রার্থনাস্থল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2023 | 9:19 PM

বোলপুর: শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করতে পারে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের উপদেষ্টা সংস্থা ইসিওএমওএস (ICOMOS) এই নাম প্রস্তাবও করেছেন। মঙ্গলবার টুইট করে এ কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি। রবীন্দ্র জয়ন্তীর শুভ লগ্নে এ খবর দিয়েছিলেন তিনি। বুধবার সেই কথা জানালেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত ২০২১ সালে ICOMOS এর প্রতিনিধি দল বিশ্বভারতী আসেন। দুদিন ধরে তারা ঘুরে দেখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। এবং তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেইই ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত হতে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের রিয়াধে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি এ সংক্রান্ত ঘোষণা করতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এই ঘোষণার কথা সামনে আসেতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী থেকে পড়ুয়া, আশ্রমিক থেকে প্রাক্তন ছাত্ররা নিজেদের খুশির কথা জানিয়েছেন। এ নিয়ে বিশ্বভারতীর বিদ্যাভাবনের কর্মী রাজীব ঝাঁ বলেছেন, “এই খবর পাওয়ার পর থেকেই আমরা খুশি। পুরো বাংলা তথা ভারতের মানুষ এই ঘোষণায় আনন্দিত। আশা করি আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাবে বিশ্বভারতী।”

এ নিয়ে সুপ্রিয় ঠাকুর নামের এক আশ্রমিক বলেছেন, “রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাচিন্তা, সংস্কতিক চিন্তা সারা বিশ্ব চর্চা করে। এটা বহুদিনই একটি আন্তর্জাতিক জায়গা। এটা স্বীকৃতি পেয়েছে।সেটা খুব ভাল। আমাদের উচিত তা রক্ষা করা। দায়িত্ব আরও বাড়ল।” প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান অধ্যাপক বলেছেন, “রবীন্দ্রনাথের উপরে কেউ নেই। তাঁর সৃষ্টি, তাঁর চিন্তাধারা বিশ্বের দরবারে। সকলে মিলে কাজ করে যেতে হবে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে।” এই স্বীকতি নিয়ে ঐন্দ্রিলা মৌলিক নামের এক ছাত্রী বলেছেন, “কেবল ছাত্রী হিসাবে নয়, এক জন বাঙালি হিসাবেও খুব গর্ববোধ করছি। আমাদের জন্য খুব ভাল খবর। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার করার সুযোগ পেয়েছি। যা গর্বের বিষয়।”