নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়েই চোখ কপালে সাফাই কর্মীদের, জলে ভাসছে শতাধিক আধার কার্ড!

Aadhar Card: স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে নর্দমা পরিষ্কারের সময় আধার কার্ড বের করেন সাফাই কর্মীরা। নর্দমার জলে দেখা যায় প্রায় শতাধিক আধার কার্ড ভেসে রয়েছে। আধার কার্ডগুলি  আসল না নকল তাও স্পষ্ট নয়।

নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়েই চোখ কপালে সাফাই কর্মীদের, জলে ভাসছে শতাধিক আধার কার্ড!
নর্দমা থেকে উঠে এল আধার কার্ড, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2021 | 10:50 AM

বীরভূম: নর্দমার জলে ভাসছে প্রায় শতাধিক আধার কার্ড (Aadhar Card)! ড্রেন পরিষ্কার করতে গিয়ে ভেসে উঠল কার্ড। কাদের কার্ড কারাই বা ফেলেছে তাও স্পষ্ট নয়। মঙ্গলবার সকালে, সিউড়ির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের টিনবাজার এলাকার ঘটনা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে নর্দমা পরিষ্কারের সময় আধার কার্ড বের করেন সাফাই কর্মীরা। নর্দমার জলে দেখা যায় প্রায় শতাধিক আধার কার্ড ভেসে রয়েছে। আধার কার্ডগুলি (Aadhar Card)  আসল না নকল তাও স্পষ্ট নয়। স্থানীয়দের অনুমান, আধার কার্ডগুলি জালও হতে পারে। কে বা কারা এত সংখ্যক আধার কার্ড ফেলছে তাও অজানা। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, এই ভুয়ো আধার কার্ডের জেরে আরও অন্য বিপদও হতে পারে। বর্তমানে, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, আধার নম্বরের সঙ্গে প্যান থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টও লিঙ্ক করা থাকে। এই ধরনের কার্ডের সাহায্য়ে সেই ব্যক্তিগত নথিতে হাত পড়তে পারে দুষ্কৃতীদের বলেই অনুমান এলাকাবাসীর।

স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “আমরা আজ সকালে এসে দেখি নর্দমার মধ্য়ে থেকে কার্ড ভেসে আসছে। এরকম কার্ড বেরিয়ে এলে তো চিন্তা। যে বা যাঁরা এই কাজ করেছেন তা অত্য়ন্ত অন্যায়।” টিনবাজার এলাকার অন্য এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা সকাল থেকেই দেখছি, যাঁরা ড্রেন পরিষ্কার করতে আসেন তাঁরাই এই বাণ্ডিল বাণ্ডিল কার্ড খুঁজে পেয়েছেন। এ ধরনের আধার কার্ড যদি নর্দমায় পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে  হবে আমাদের কোনও তথ্য সুরক্ষিত নেই। কে জানে, আমার জাল কার্ড পাওয়া যেতে পারে ওর মধ্যে। সকলেই তো বলছে জাল কার্ড ধরা পড়েছে। প্রশাসনকে বলব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

ঘটনায়, ইতিমধ্য়েই সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী। পুলিশ জানিয়েছে, খুব দ্রুত ঘটনাটির নিষ্পত্তি করা হবে। সিউড়ির ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও এইধরনের কোনও অভিযোগ এসে জমা হয়নি। তবে, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখা হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি, রাজ্য়র বিভিন্ন জায়গায় জাল আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের একাধিক ভুয়ো সংস্থার হদিশ মিলেছে। সরকারি খাতে যেখানে বিনামূল্যে আধার কার্ড প্রাপ্য়, সেখানে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দিলে মিলছে আধার কার্ড। অধিকাংশক্ষেত্রেই সরকারি অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হচ্ছে সেসব কার্ড। ফলে তথ্য পাচার ছাড়াও আমজনের আরও নানাবিধ বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

আধার জালিয়াতি থেকে ইতিমধ্য়েই সতর্ক করেছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI)। ইউআইডিএআই (UIDAI)-এর তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,  ১২ ডিজিটের নম্বর হলেই তা আধারের নম্বর এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আধার ভ্যারিফিকেশনের প্রক্রিয়া দুটি ধাপেই করা সম্ভব। ইউআইডিএআই (UIDAI)-এর সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়েই আধারের তথ্য আসল না নকল তা যাচাই করা যাবে। অন্যদিকে, আধার কার্ডের প্রক্রিয়াকরণে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ইউআইডিএআই। ভ্যালিডেশন লেটারের সাহায্যে আধার কার্ডের ঠিকানা আপডেট করার প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে । এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে, যাঁরা ভাড়া থাকেন তাঁরা মূলত ঠিকানা আপডেট করতেন। বন্ধ করা হয়েছে আধারের রিপ্রিন্টিং-ও। আধারের পরিবর্তে পিভিসি কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে বলে জানিয়েছে ইউআইডিএআই (UIDAI)। আরও পড়ুন: Photo Gallery: হলমার্কের সঙ্গে HUID, কেন্দ্রের নতুন নিয়মে ধর্মঘট স্বর্ণব্যবসায়ীদের!