Birbhum: পুজোর খিচুড়ি খেয়ে ক’দিন মৃত ৩, ভয়ে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের রান্না বন্ধ গ্রামবাসীদের
Birbhum: গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘরের মাথায় কোনো চালা নেই। খোলা আকাশের নীচেই চলে রান্নার কাজ। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, এই অবস্থায় রান্না খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। খাবারের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
সিউড়ি: কয়েকদিন আগেই খিচুড়ি প্রসাদে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। সেই আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়েনি। ভয়ে এবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না বন্ধ করে দিল গ্রামবাসীরা। শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের রাজনগরে। ঘটনায় শোরগোল এলাকায়। প্রসঙ্গত, আর পাঁচটা দিনের মতো এদিনও রাজনগর ব্লকের আড়ালি গ্রামের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার তোড়জোড় চলছিল। খিচুড়ি তৈরির যাবতীয় সরঞ্জামও এসে গিয়েছিল। কিন্তু, আচমকা বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী এসে রান্নায় বাধা দেন বলে জানা যাচ্ছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘরের মাথায় কোনো চালা নেই। খোলা আকাশের নীচেই চলে রান্নার কাজ। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, এই অবস্থায় রান্না খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। খাবারের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা খোলা আকাশের নীচে রান্না করলে যে কোনও সময় বাইরে থেকে কোনও জিনিস উড়ে এসে খাবারে পড়ে খাবারের গুণমান নষ্ট করতে পারে। পেটের রোগ দেখা দিতে পারে। বিষক্রিয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তাই দ্রুত রান্নাঘরের চালা লাগানোরও দাবি তুলেছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের দাবি, যতক্ষণ না এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে ততক্ষণ বন্ধ রাখতে হবে রান্না।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে লক্ষ্মীপুজোর বাসি খিচুড়ি খেয়ে এলাকায় বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। ঘটনায় শোকের ছায়া নামে গ্রামে। এখনও আতঙ্কের ছাপ দিকেদিকে। এবার সেই আতঙ্কের ছাপ পড়ল অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রেও। গ্রামের বাসিন্দা নুরুমা বিবি বলছেন, ওখানে কোনও ছাউনি নেই। বহু দিন থেকে ওইভাবে পড়ে আছে। পোকা-মাকড় আছে। খাবারে পড়ে যেতে পারে। যতক্ষণ না রান্নাঘরে কোনও ছাউনির ব্যবস্থা হচ্ছে ততক্ষণ রান্না বন্ধ থাকুক। এটাই আমরা চাই।