Deocha Barrage: সারাইয়ের পর ‘দু’মাসও টেকেনি’, কঙ্কালসার চেহারা দেউচা ব্যারেজের
Deocha Barrage: সড়কপথে কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গকে যোগ করে সাত নম্বর জাতীয় সড়ক। এই ব্যারেজের উপর দিয়ে যেতে গেলেই যেন বুক কাঁপে যাত্রীদের। এক বছর আগেই মেরামত হয়েছে রাস্তার। কিন্তু তার মধ্যেই আবার বেহাল দশা।
বীরভূম: সেতু তো নয়, যেন মরণফাঁদ। কথা হচ্ছে সাত নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দেউচা ব্য়ারেজ নিয়ে। জয়েন্টে ফাটল। রাস্তার উপরের পিচ উঠে বেরিয়ে গিয়েছে কঙ্কালসার চেহারা। উঁকি মারছে লোহার রড। বাংলার সড়ক যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এই রাস্তা। সড়কপথে কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গকে যোগ করে সাত নম্বর জাতীয় সড়ক। এই ব্যারেজের উপর দিয়ে যেতে গেলেই যেন বুক কাঁপে যাত্রীদের। এক বছর আগেই মেরামত হয়েছে রাস্তার। কিন্তু তার মধ্যেই আবার বেহাল দশা। ভারী গাড়ি গেলে, ব্যারেজ কাঁপে। এমন অবস্থায় চরম আতঙ্কের মধ্যেই যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের।
যাঁরা নিত্যদিন এই ব্যারেজের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁরা একপ্রকার প্রাণ হাতে নিয়েই যাতায়াত করেন। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। বলছেন, ‘রাস্তা প্রচুর খারাপ হয়ে গিয়েছে। আগেও খারাপ হয়েছিল রাস্তা। সারাইয়ের পর দু’মাসও টেকেনি। আবার রাস্তা খারাপ হয়ে গিয়েছে।’ আর এক জন বললেন, ‘একেবারে যা তা অবস্থা। রাস্তা দিয়ে যাতায়াতই করা যাচ্ছে না।’ যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন তাঁরা।
কলকাতা থেকে বীরভূম হয়ে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার জন্য এটাই মূল রাস্তা। প্রতিদিন ৮-১০ হাজার গাড়ি যাতায়াত করে এই পথে। সেক্ষেত্রে এমন গুরুত্বপূর্ণ এমন ব্যারেজের এই হাল কেন? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়ের সঙ্গে। তিনি বলছেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রকে ইতিমধ্যেই ডেকেছি। বিষয়টি পর্যালোচনা করে জানতে চেয়েছি, কেন এক বছরের মধ্যে এমন হচ্ছে।’
যোগাযোগ করা হয়েছিল ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির ইঞ্জিনিয়র জয়ন্ত গড়াইয়ের সঙ্গেও। তিনি বলছেন, ব্রিজের কংক্রিট একদম ঠিকঠাক আছে। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। শুধু একটি লোকালাইজ়ড এরিয়ায় একটা সমস্যা হয়েছে। সেটা আমরা মেরামত করে নেব।’