নববর্ষে কঙ্কালিতলায় পুজো দেওয়ার ভিড়, মাস্ক থাকলেও শিকেয় সামাজিক দূরত্ব
মন্দিরে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। বেশিরভাগ পুণ্যার্থীর মুখে মাস্ক থাকলেও ব্যতিক্রমী অরক্ষিত মুখ ধরা পড়ছে।
বীরভূম: একটা নতুন বছরের (Bengali New Year) সূচনা। বাঙালি মনে মনে বলছে ‘এস হে বৈশাখ।’ তাই বর্ষবরণ করে নিতে কোনও খামতি নেই। আর সেই আনন্দে শিকেয় উঠেছে করোনাবিধি। গতকাল রাত থেকেই গড়িয়াহাট, চাঁদনির বিভিন্ন এলাকায় ভিড় জমিয়ে চলেছে কেনাকাটা। নববর্ষের সকালে মন্দিরে মন্দিরেও ভিড়। আর অনেক ক্ষেত্রেই অরক্ষিত মুখ, শিকেয় সামাজিক দূরত্ব। বীরভূমের কঙ্কালিতলা মন্দিরে দেখা গেল সেরকমই ছবি।
কঙ্কালিতলার সতীপীঠে নতুন বছরের প্রথম দিনে পুজো দেওয়ার ভিড় চোখে পড়ার মতো। শুধু বোলপুর নয় আশেপাশের প্রচুর পুণ্যার্থীরা বছরের প্রথম দিন কঙ্কালিতলায় পুজো দিতে এসেছেন। পরিবারের মঙ্গল কামনায় ও ব্যবসায়ীরা হালখাতার নামে পুজো দিতে এসেছেন কঙ্কালিতলায়। করোনা আবহে যাতে বিধি পালিত হয়, তাই মন্দির চত্ত্বরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মন্দিরে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। বেশিরভাগ পুণ্যার্থীর মুখে মাস্ক থাকলেও ব্যতিক্রমী অরক্ষিত মুখ ধরা পড়ছে। মন্দিরের নির্দেশিকা মেনে পুজোপাঠ হলেও প্রচুর ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ। নববর্ষকে আপন করে নিতে তাই আনন্দে মাতোয়ারা সকলে। কিন্তু যে হারে করোনা ছড়াচ্ছে, তাতে এই ভিড় সংক্রমণের গতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
তবে কঙ্কালিতলা মন্দির চত্ত্বরে প্রবেশ করতে গেলে মাস্ক মাস্ট ও স্যানিটাইজ করতে হচ্ছে। কিন্তু ভয়ের কারণ হয়ে উঠছে ভিড়। রাজ্যে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮১২ জন। এমতাবস্থায় এই ভিড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন: মতুয়া কারা? কেন রাজনৈতিক দলগুলি মতুয়ায় ‘মাতোয়ারা’?