Ratha Yatra 2022: ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট কোম্পানি বানিয়ে দিয়েছিল পিতলের রথ, আজও মেলায় মাতে গ্রামের মানুষ
Ratha Yatra 2022: বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে এমন অনেক রথের মেলা হয়, যা ১০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য বহন করে।
দুবরাজপুর: কোভিডের জন্য গত ২ বছর অনেক জায়গাতেই রথের মেলা হয়নি। ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রাগুলির চেহারাও ম্লান হয়ে গিয়েছিল। এবার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনা। সংক্রমণ বাড়লেও এখনও কোনও আতঙ্কের কথা বলছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাই এবার রথে সাজো সাজো রব। ফিরছে পুরনো জাঁকজমক। সেই পুরনো গৌরব নিয়ে এবার রাস্তায় নামবে দুবরাজপুরে হেতমপুর রাজবাড়ির শতাব্দী প্রাচীন রথ। বীরভূমের এই রথ বরাবরই এলাকার মানুষের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র।
মহারাজা রামরঞ্জন চক্রবর্তী গৌরাঙ্গ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। এই মন্দির থেকেই বের হত রাজপরিবারের রথ। এই রথ সুদূর ইংল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ইংল্যান্ডের নামকরা স্টুয়ার্ট কোম্পানির তৈরি পিতলের এই রথ। একসময় ঘোড়ায় টানত এই রথ। বর্তমানে ভক্তরাই টানেন। রাজবাড়ীর এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে একসময় যাত্রা, নাটক, কবিগান ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। পাশাপাশি বসত গ্রাম্য মেলাও।
দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসতেন রথ দেখতে। রথের দিন রাজবাড়ির দরজা সকলের জন্য খুলে দেওয়া হত। কিন্তু বর্তমানে সবই অতীত। হেতমপুর রাজপরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে ২০০৭ সালে রাজপরিবারের গৌরাঙ্গ মন্দির গৌরাঙ্গ মঠের হাতে তুলে দেন রাজপরিবারের সদস্য মাধবী রঞ্জন চক্রবর্তী। তারপর থেকেই গৌরাঙ্গ মঠ গৌরাঙ্গ মন্দির ও রথ পরিচালনা করে আসছে।
গত দু বছর করোনার কারণে রথের চাকায় রাস্তায় গড়ায়নি। সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় রীতি মেনে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের স্যান্ট্রো গাড়ি করে মন্দির প্রাঙ্গণ পরিক্রমা করেছিলেন জগন্নাথ দেব। কিন্তু এ বছর করোনা কমতেই রথ বের হচ্ছে রাস্তায়। শতাব্দীপ্রাচীন সেই পিতলের রথ রাজবাড়ী থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বৃহস্পতিবারই। মোছামুছি ও রঙ করার কাজ চলেছে সারা দিন ধরে। শুক্রবার নামছে সেই রথ। এলাকার মানুষের উৎসাহ তুঙ্গে। পাশাপাশি গ্রামের মানুষের জন্য মেলার বন্দোবস্তও করেছে গৌরাঙ্গ মঠ। মন্দিরের সামনেই বসছে সেই মেলা।