TMC in Birbhum: মাঘ মেলায় ‘ফিরলেন’ বীরভূমের ‘বাঘ’
TMC in Birbhum: প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর এই ঐতিহ্যবাহী মেলাতে রাজনৈতিক স্টল সেই ভাবে দেখা যায় না। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে ইদানিং জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পোস্টার দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। অন্যথা হল না এই মেলাও। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, এই মেলায় শাসক দলের কোনও প্রভাব নেই।

সিউড়ি: বীরভূমে কোর কমিটি গঠিত হতেই যেন জেলায় ফিরলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সশরীরে না হলেও কেষ্টর ছবি ফিরল ফ্লেক্সে। গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর কার্যত ‘উবে’ গিয়েছিলেন তিনি। কোথাও ছিল না কোনও পোস্টার-ফ্লেক্স। তবে কোর কমিটি গঠনের পরই বদলে যায় চিত্র। এবার বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাঘ মেলার মাঠে পড়ল অনুব্রত মণ্ডলের পোস্টার।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর এই ঐতিহ্যবাহী মেলাতে রাজনৈতিক স্টল সেই ভাবে দেখা যায় না। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে ইদানিং জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পোস্টার দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। অন্যথা হল না এই মেলাও। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, এই মেলায় শাসক দলের কোনও প্রভাব নেই। কিশোর ভট্টাচার্য, কর্মী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক বলেন, “এটা ১০২ বছরের মেলা। এখানে রাজনৈতিক দলের দোকান হয়েছে ঠিকই। তবে মনে রাখতে হবে শান্তিনিকেতন রাজ্যের বাইরে নয়। সেই কারণেই হয়ত শাসকদলের রাজনৈতিক প্রভাব পড়েছে। তবে এটা যেহেতু কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এর এখানে কোনও রাজনৈতিক দলেরই প্রভাব পড়া উচিত নয়।” তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি অনুব্রত মানুষের আবেগ। আর সেই কারণে তার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এই সমস্ত জায়গাগুলিতে। সাধারণ মানুষ চান কেষ্ট মণ্ডলকে। তাই তাঁরা আবেগকে ধরে রাখতে পারছে না বলেই এই ধরনের কাজ হচ্ছে। মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এক সময় যখন পৌষমেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেই সময় এই অনুব্রত মণ্ডলই বিকল্প পৌষমেলা শুরু করেন।”
অপরদিকে, বামেদের দাবি তৃণমূল সর্বত্রই রাজনীতি করে। তৃণমূলের এটাই কালচার। ওরা তো দখলের রাজনীতি করে। পুরনো সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে। ভোটের ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক মুখ সব থেকে বেশি ওদের জেতাতে পারবে সেই কারণেই পোস্টার দেওয়া হয়েছে।”





