Anubrata Mandal: ‘আমি আছি, আমি মরি নাই’, দেড় মাস পর বোলপুর ফিরেই গর্জন অনুব্রতর
Anubrata Mandal: বীরভূমে ফিরেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তাঁর বীরভূমে ফেরার খবর পেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। দলীয় পতাকা হাতে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁরা। কারও হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ল্যাকার্ড তো কারও হাতে আবার অনুব্রতর।
বীরভূম : সবাইকে চমকে দিয়ে নিজেই ই-মেল করেছিলেন সিবিআইকে। বলেছিলেন, তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হতে ইচ্ছুক। সেই মতো বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তারপর চেক আপের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। এবার বীরভূমে ফিরলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তাঁর বীরভূমে ফেরার খবর পেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। দলীয় পতাকা হাতে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁরা। চলল গান-বাজনা। কারও হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ল্যাকার্ড তো কারও হাতে আবার অনুব্রতর। বোলপুরের মাটিতে পা রেখে দলীয় কর্মীদের হতাশ করলেন না ‘কেষ্ট’। স্বমহিমায় জানিয়ে দিলেন, “আমি আছি, আমি মরি নাই।”
অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনে শুক্রবার সকাল থেকেই একটু একটু করে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। বেলা বাড়তেই ভিড়ের পরিধিও বাড়তে শুরু করে। বহু দূর দূর থেকে মানুষ এসে ভিড় করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনের রাস্তায়। এক কথায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির বাড়ির সামনের রাস্তায় আজ তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের ঢল। তাঁদের প্রিয় নেতা এতদিন পর জেলায় ফিরেছেন, তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য, তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য ভিড়ের আয়তন ক্রমেই বেড়েছে ‘কেষ্ট’-র বাড়ির সামনে।
এক দলীয় কর্মী জানিয়েছেন, “একজন মানুষের শরীর অসুস্থ হতেই পারে। নানান মানুষ, নানান কথা বলেছেন। কিন্তু আমাদের নেতা প্রমাণ করে দিয়েছেন। সত্যের জয় হল। তিনি সত্যিই খুব অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরেই হাঁপানি, হার্টের অসুখে ও সুগারে ভুগছেন। এতদিন ধরে বোলপুরের বাইরে রয়েছেন তিনি। মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন। সিপিএমের অরাজকতা থেকে মানুষকে যিনি মুক্তি দিয়েছেন বীরভূমে, তাঁর নাম অনুব্রত মণ্ডল।” দলীয় কর্মীদের কথায়, তাঁরা ভেবেছিলেন শুধুমাত্র বোলপুর ব্লকের মধ্যেই এই ভিড় সীমিত থাকবে। কিন্তু জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক আসতে শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন মানুষের আবেগ, বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলও তেমন মানুষের আবেগ।
উল্লেখ্য, শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রায় দেড় মাস হতে চলল জেলার বাইরে রয়েছেন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও বেড রেস্টেই ছিলেন তিনি। গতকালও সিবিআই অফিসে ঢোকার সময় দেখা গিয়েছে বুকে হাত দিয়ে ঢুকেছিলেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের ডাকে বীরভূমে ফিরেছেন তিনি।