‘আমরা যেন চোর!’ উপাচার্যের বিরুদ্ধে কেষ্টকে নালিশ বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা কর্মীদের
Anubrata Mandal: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের কেষ্টর কাছে তাঁদের নালিশ, বেতন বকেয়া রয়েছে। কর্মীরা বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে উপাচার্য এমন ব্যবহার করেন যেন নিরাপত্তা কর্মীরাই চোর!
বোলপুর: ফের শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chacrabarty) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দ্বারস্থ হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহের কেষ্টর কাছে তাঁদের নালিশ, বেতন বকেয়া রয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা বলছেন, তাঁদের সঙ্গে উপাচার্য এমন ব্যবহার করেন যেন তাঁরাই চোর!
রবিবার অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করেন বিশ্বভারতীর দুই আধ্যাপক। একই সঙ্গে বিশ্বভারতীর নিরপত্তা রক্ষীদের ৩২ জন সদস্য এদিন তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভিযোগ জানান। বকেয়া বেতন, কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে তাঁরা সাংসদ অসিত মালের সঙ্গে কথা বলেছেন। কর্মীদের দাবি, তাঁদের ওপর বিভিন্ন উপায়ে অত্যাচার করছেন উপাচার্য!
এদিন বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে ভিবিউফা সংগঠনের দুই আধ্যাপক ঘন্টা খানেক ধরে বৈঠক করেন লোকসভার সাংসদ অসিত মালের সঙ্গে। তাদের তরফে সাংসদকে লিখিত আকারে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে এক নিরাপত্তা কর্মীর বক্তব্য, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই আমরাই যেন চোর! বারবার ব্যাগ চেক করা হয়। তার পর আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেসব জানিয়ে এসেছি।”
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল এই বৈঠক নিয়ে জানান, জেলা কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বিশ্বভারতীর দুই অধ্যাপক। সেখানে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও ছিলেন। সাংসদের কথায়, কবিগুরুর বিশ্বভারতীতে যে অরাজক পরিবেশ উপাচার্য তৈরি করেছেন তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন কর্মীরা। একই সঙ্গে বকেয়া বেতন সহ ছাত্র ছাত্রীদের সাসপেন্ড নিয়েও এই দরবার বলে জানান সাংসদ। অপরদিক বিশ্বভারতীর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের অভিযোগ লিখিত আকারে তাঁদের কাছে পেশ করা হয়েছে।
আগামী ১৯ জুলাই সংসদ শুরু হবে। সেখানে এই বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলে জানান সাংসদ। অসিতবাবুর কথায়, “ভারতের কোথাও এমন ঘটনা ঘটছে না। কেবল বিশ্বভারতীই কেন?” বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানান সাংসদ। এই বৈঠক নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে রাজি নন।
তবে বিশ্বভারতীর নিরপত্তা রক্ষী বদরুল জামানের কথায়, “উপাচার্য আমাদের রাতের দিকে নির্মম অত্যাচার করছে। কখনও চোর সন্দেহে সব জিনিস পত্র চেক করান। আমদের চোর ভাবেন। আরও একধিক অত্যাচার সহ্য করতে হয় উপাচার্যের। এই সব অভিযোগ তুলে ধরলাম অনুব্রত মণ্ডল ও সাংসদ অসিত মালের কাছে।” আরও পড়ুন: নীলবাতি গাড়িতে নবান্নের সামনেও ঘুরে এসেছেন, স্ত্রীর অভিযোগে ভুয়ো সিবিআই অফিসারের পর্দাফাঁস!