আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, এ কথা মিথ্যা, অনুব্রতর পাশে বসে স্বীকারোক্তি বিজেপি নেত্রীর

"আমি একজন বিজেপি কর্মী (BJP Worker)। আমার বাড়ির সামনে হইহুল্লোড় হচ্ছিল বলে ভয়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। এর মধ্যে কে বা কারা সোশ্যাল মাধ্যমে রটিয়েছে যে আমার ধর্ষণ হয়েছে। একথা একেবারেই মিথ্যা। আমার সঙ্গে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।''

আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, এ কথা মিথ্যা, অনুব্রতর পাশে বসে স্বীকারোক্তি বিজেপি নেত্রীর
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 04, 2021 | 11:21 PM

বীরভূম: ভোটের ফল (WB Assembly Election Result) বেরতেই রাজ্যজুড়ে হিংসার খবর। এই প্রেক্ষিতে দুই বিজেপি মহিলা কর্মীর ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি (BJP)। যা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর উত্তেজনা চরমে। যদিও রাজ্য পুলিশ একে ভুয়ো খবর বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে। কয়েকজন বিজেপি নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেন, বীরভূমের নানুরে তাঁদের এক মহিলা কর্মী গণধর্ষিণের শিকার হয়েছেন। এবার সেই মহিলাকেই পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির পাশে বসে বিজেপি কর্মীও জানালেন এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।

নানুরে সাওতা গ্রামের বাসিন্দা অপর্ণা রায় এবারের ভোটে বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পর থেকেই তাঁকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনাক্রমে মঙ্গলবার সকাল থেকেই টুইটার ও ফেসবুকে বিজেপি নেতারা দাবি করতে শুরু করেন যে, ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। আঙুল তোলা হয় তৃণমূলের দিকে। এরপরই আসরে নামেন অনুব্রত। বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে সেই বিজেপি কর্মীকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দেন তিনি।

স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অনুব্রত বলেন, “এভাবে ফেক নিউজ রটাচ্ছে বিজেপি আইটি সেল। একজন মেয়েকে এভাবে বদনাম করা একেবারে ঠিক নয়। উনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।” পাশাপাশি ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য বজেপির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেতা।

কিন্তু ভোটের পর ওই বিজেপি কর্মী নিখোঁজ ছিলেন কেন?

তাঁর নিজের কথায়, “আমি একজন বিজেপি কর্মী। আমার বাড়ির সামনে হইহুল্লোড় হচ্ছিল বলে ভয়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। এর মধ্যে কে বা কারা সোশ্যাল মাধ্যমে রটিয়েছে যে আমার ধর্ষণ হয়েছে। একথা একেবারেই মিথ্যা। আমার সঙ্গে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।”

আরও পড়ুন: ‘নেতাদের কোনও দাম নেই, কর্মীরাই শেষ কথা’, হুঙ্কার ‘কর্মী’ অনুব্রতর

উল্লেখ্য, এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে এই একই দাবি করেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি। যদিও এ নিয়ে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।