Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

স্বমহিমায় ফেরার অপেক্ষায় বিজেপির কালোসোনা, ৮ মাসেই বহিষ্কার প্রত্যাহার

দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও কালোসোনা মণ্ডল বহিষ্কৃত থাকাকালীনও বিজেপির শ্রীবৃদ্ধির জন্য একাধিক কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা।

স্বমহিমায় ফেরার অপেক্ষায় বিজেপির কালোসোনা, ৮ মাসেই বহিষ্কার প্রত্যাহার
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 30, 2021 | 6:50 PM

বীরভূম: দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য গত বছর জুলাই মাসে বীরভূম (Birbhum) জেলা বিজেপির (BJP) প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল (Kalosona Mondal) এবং প্রাক্তন সম্পাদক দেবাশীষ মিত্র ওরফে পলাশ মিত্রকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল বিজেপি। এরপর দীর্ঘ ৮ মাস পর শনিবার সেই বহিষ্কার প্রত্যাহার করা হল।

logo2

বহিষ্কার প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। বহিষ্কার প্রত্যাহারের খবর পেয়ে কালোসোনা মণ্ডল কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাজ্য ও জেলা সভাপতিকে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দুই নেতার দলে প্রত্যাবর্তন বীরভূম জেলা বিজেপিকে বেশ কিছুটা অক্সিজেন দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বীরভূম জেলা বিজেপির অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত কালোসোনা মণ্ডল। তাঁকে একাধিকবার বিভিন্ন সভামঞ্চ থেকে শাসক দলের নেতাকর্মীদের কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে। এমনকি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও তিনি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার দাবিতে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে গেলে দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন। যার পর থেকে কালোসোনার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। কালসোনা মণ্ডলই এক সময় জোরগলায় বলেছিলেন, ‘মনিরুল ইসলামকে বিজেপিতে নেওয়া হলেও জেলা বিজেপি তাঁকে মানবে না।’

আরও পড়ুন: বিস্ফোরণে জোড়া দায় স্বীকার, জইশ না আইসিস-ধন্দে তদন্তকারী সংস্থা

তবে জেলার এই পরিচিত মুখের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কে তাল কাটে ২০২০ সালের জুলাই মাসে। যে সময় বিজেপির জেলা সভাপতি ছিলেন শ্যামাপদ মণ্ডল। জুলাই মাসের ২৮ তারিখে তৎকালীন জেলা সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করে কালোসোনা মণ্ডল এবং দেবাশীষ মিত্রকে দল থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দেন। তাঁদের দু’জনের উপর দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছিল।

তবে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও কালোসোনা মণ্ডল বহিষ্কৃত থাকাকালীনও বিজেপির শ্রীবৃদ্ধির জন্য একাধিক কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। যার পরে শনিবার এই বহিষ্কারের নির্দেশ প্রত্যাহারের পর খুশির হওয়া তাঁদের মধ্যেও।

আরও পড়ুন: না থেকেও ডুমুরজলার সভায় থাকছেন অমিত শাহ!