Coochbehar: চা বাগানে কিশোরীর এমন হাল কারা করল? কপাল চাপড়াচ্ছে বাড়ির লোকেরা
Coochbehar: সাইফুল রহমান নামে এক আত্মীয়ের কথায়, ওই কিশোরী দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোয়। তাঁরা তখন বাড়িতে ধান কাটছিলেন। কিন্তু বেলা গড়াতে থাকলেও ঘরে ফেরেনি। এরপরই বাড়ির লোকজন খোঁজ শুরু করেন। এদিক ওদিক সম্ভাব্য সমস্ত জায়গাতেই খুঁজেছেন বলে জানান তাঁরা।
কোচবিহার: বছর সতেরোর এক কিশোরীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হল চা বাগান থেকে। শনিবারের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরি এলাকায়। কাছেই ওই কিশোরীর বাড়ি। যেখানে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, বড় জোর ৫০০ মিটার দূরে এই চা বাগান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জামালদহ ফাঁড়ির পুলিশ। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সাইফুল রহমান নামে এক আত্মীয়ের কথায়, ওই কিশোরী দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোয়। তাঁরা তখন বাড়িতে ধান কাটছিলেন। কিন্তু বেলা গড়াতে থাকলেও ঘরে ফেরেনি। এরপরই বাড়ির লোকজন খোঁজ শুরু করেন। এদিক ওদিক সম্ভাব্য সমস্ত জায়গাতেই খুঁজেছেন বলে জানান তাঁরা।
গোটা পাড়ার লোকজন এক হয়ে খুঁজতে বেরোয় ওই কিশোরীকে। এরপর বিকালের দিকে চা বাগানে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। চা বাগানের কাছে গরু বেঁধেছিলেন একজন। তিনিই প্রথম এই দৃশ্য দেখতে পান। এরপরই চিৎকার চেঁচামেচি করে অন্যান্য লোকজনকে ডেকে আনেন।
মৃত কিশোরীরা দুই বোন, এক ভাই। বাবা প্রান্তিক কৃষক। মেয়ের এমন পরিণতি কীভাবে হল ভাবতেই পারছেন না তাঁরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাড়ির লোকেরা। জামালদহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মণিভূষণ সরকার জানান, অগ্নিদগ্ধ কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হচ্ছে। তার রিপোর্ট এলেই এই মৃত্যুর পিছনে আসল কারণ জানা যাবে।