Lynching Case: মাসে মাসে টাকা যেত বাড়ি থেকে! গণধোলাইকাণ্ডে দিনহাটার শঙ্করের নাম আসায় স্তম্ভিত মা
Bowbazar Lynching Case: কোচবিহার কলেজে পড়াশোনা শেষ করে স্নাতকোত্তর করতে কলকাতায় যায়। ছেলেকে কলকাতায় পড়তে পাঠিয়ে প্রতি মাসে বাড়ি থেকে টাকা পাঠানো হত। কোনও মাসে পাঁচ হাজার, কোনও মাসে তিন হাজার টাকা করে পাঠাতেন শঙ্করের বাবা-মা।
দিনহাটা: কলকাতায় উদয়ন হস্টেলে গণপিটুনির জেরে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। সেই ঘটনায় ওই হস্টেল থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই ১৪ জনের তালিকায় রয়েছে দিনহাটার মাতালহাটের শঙ্কর বর্মণও। মাতালহাট সংলগ্ন প্রত্যন্ত গ্রাম বড়ভিটায় শঙ্করদের বাড়ি। সেই বাড়িতেই থাকেন শঙ্করের বাবা-মা ও ভাই। পাড়া-প্রতিবেশীরা সবাই ভাল ছেলে বলেই চেনেন শঙ্করকে। বউবাজারের উদয়ন হস্টেলের ঘটনায় শঙ্করের নামও উঠে আসায় একপ্রকার স্তম্ভিত এলাকাবাসীরা।
কোচবিহার কলেজে পড়াশোনা শেষ করে স্নাতকোত্তর করতে কলকাতায় যায়। ছেলেকে কলকাতায় পড়তে পাঠিয়ে প্রতি মাসে বাড়ি থেকে টাকা পাঠানো হত। কোনও মাসে পাঁচ হাজার, কোনও মাসে তিন হাজার টাকা করে পাঠাতেন শঙ্করের বাবা-মা। পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন, গত বৃহস্পতিবারও শঙ্করের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁদের। এক বন্ধুর ফোন থেকে বাড়িতে ফোন করেছিল। তখন শঙ্কর জানিয়েছিল, তার মোবাইল হারিয়ে গিয়েছে, মোবাইল ঠিক হলে আবার কথা বলবে।
শঙ্করের ভাই বিশ্বজিৎ বর্মণও বুঝে উঠে পারছে না কিছুই। শঙ্করের ভাই জানাচ্ছে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর পাশ করেছে শঙ্কর। কলকাতায় থেকেই পড়াশোনা করত। নেটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হঠাৎ করে কীভাবে উদয়ন হোস্টেলে চোর সন্দেহে গণধোলাইয়ের অভিযোগে দাদার নাম উঠে এল, তা ভেবে পাচ্ছে না শঙ্করের ভাই বিশ্বজিৎ বর্মণ।
বিশ্বজিৎ জানাচ্ছেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলে দাদা ওঁর এক বন্ধুর ফোন থেকে ফোন করেছিল। দাদার ওই বন্ধুর নাম সুখেন রায়। দাদা জানিয়েছিল, মোবাইল ফোন হারিয়ে গিয়েছে। একটা সিম নেওয়ার জন্য দোকানে গিয়েছে। সব ঠিক হয়ে গেলে আবার ফোন করবে বলে জানিয়েছিল।”