Cooch Behar: ‘প্রথমে ব্লাউজ ছেঁড়ে, তারপর শাড়ি খোলে, পরনের সায়াটাও খুলে নেয়, তারপর এপাশ-ওপাশ করে…’, পুলিশের ভূমিকায় বড় প্রশ্ন

Cooch Behar: নির্যাতিতার কথায়, "এক মহিলা আমার চুলের মুঠি ধরে, আরেক মহিলা আমার ব্লাউজ ছিড়ে দেয়, তারপর খুলে দেয়। সায়া ছিল পরনে। পরে সেটাও খুলে নেয়। তারপর আমাকে এক কিলোমিটার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। এপাশ ওপাশ আমাকে ঘোরায়।"  মহিলার বক্তব্য, এটা কোনও পারিবারিক বিবাদই নয়।

Cooch Behar: 'প্রথমে ব্লাউজ ছেঁড়ে, তারপর শাড়ি খোলে, পরনের সায়াটাও খুলে নেয়, তারপর এপাশ-ওপাশ করে...', পুলিশের ভূমিকায় বড় প্রশ্ন
নির্যাতিতা Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2024 | 11:52 AM

কোচবিহার: অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর তিন দিন পার। অবশেষে রবিবার সকালে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড হল। এতদিন পর পুলিশ নির্যাতিতার বয়ান গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ। শনিবার বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন । রবিবার সকালে বয়ান রেকর্ড করতে থানায় যান নির্যাতিতা । কোতোয়ালি মহিলা থানায় বয়ান রেকর্ড হয়। কেন এতদিন বয়ান রেকর্ড হয়নি, তা নিয়ে বিজেপির প্রতিনিধি দল গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। নির্যাতিতার আরও বক্তব্য, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রে রাজনৈতিক বিষয়টি উল্লেখই করা হয়নি। যেখানে প্রথম থেকে মহিলা দাবি করে আসছেন, তিনি বিজেপি করেন। আর সে কারণেই তিনি অত্যাচারিত হয়েছেন। পুলিশের বক্তব্য, এটা নিতান্তই পারিবারিক বিবাদ।

অ্যাডিশন্যাল পুলিশ সুপার, “পারিবারিক কারণে পারিবারিক বিষয় নিয়েই ওই মহিলার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। এফআইআর দায়ের করে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এফআইআর-এ  থাকা বাকি ৩ জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনাটি স্পর্শকাতর। সেভাবেই তদন্ত চলছে। সামাজিক মাধ্যমে অনেক ধরনের কথা ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু মানুষ যাতে সেই সমস্ত কথায় কান না দেন।” পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন. নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর পরই বয়ান রেকর্ড হয়। তবে এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক কারণ নেই। তবে এটা সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। এর থেকে মানুষকে সচেতন থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশ কর্তা।

নির্যাতিতার বয়ানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নিয়েছে। নির্যাতিতার বক্তব্য, তৃণমূল নেতাদের সামনেই পুলিশ তাঁর বাবাকে দিয়ে অভিযোগ লিখিয়ে নিয়েছেন। এফআইআর-এ নাম নেই মূল অভিযুক্তেরই। নির্যাতিতার কথায়, “এক মহিলা আমার চুলের মুঠি ধরে, আরেক মহিলা আমার ব্লাউজ ছিড়ে দেয়, তারপর খুলে দেয়। সায়া ছিল পরনে। পরে সেটাও খুলে নেয়। তারপর আমাকে এক কিলোমিটার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। এপাশ ওপাশ আমাকে ঘোরায়।”  মহিলার বক্তব্য, এটা কোনও পারিবারিক বিবাদই নয়।

কোচবিহারের মাথাভাঙায় এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ। এই ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। পুলিশের বক্তব্য, ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে কয়েকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। আর তা থেকেই বিষয়ের সূত্রপাত। যে জায়গায় ঝামেলা হচ্ছিল, পাশেই নদীর চর। তিন জন মহিলার সঙ্গে আক্রান্তের বচসা হয়। তাঁকে বিবস্ত্র করে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।