Cattle Smuggling: ফের সীমান্তে বাড়ছে গরু পাচার, বাংলা-অসম সীমানা থেকে আটক ১৮
Cow Smuggling: কিছুদিন আগেই গরু পাচারকারী সন্দেহে রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা থেকেও এক বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে রাজগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।
কোচবিহার: গরু পাচারকারী অভিযোগে ১৮ জনকে আটক করল অসম পুলিশ। অসম-বাংলা সীমানার বক্সিরহাট এলাকা থেকে ওই ১৮ জনকে ধরা হয়। গরু পাচার রুখতে শুক্রবার রাতে সীমানায় বিশেষ অভিযান চলে অসম পুলিশের। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
অসমের ধুবরি জেলা-সহ পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার বেশ কয়েকটি থানা সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। আর এই কাঁটাতার উপেক্ষা করেই ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের রমরমা কারবার চলে বলে বার বার অভিয়োগ ওঠে। তবে বেশ কয়েক মাস ধরে অসম ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় পাচারের আগেই উদ্ধার হয়েছে কয়েকশো গরু। আর তাদের পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরাও পড়েছে বেশ কয়েকজন।
এবার এই গরু পাচারের চক্রকে শিকড় থেকে তুলে ফেলার নতুন প্রক্রিয়া শুরু করল অসমের ধুবরি জেলার পুলিশ। গত দু’দিনে অভিযান চালিয়ে ধুবরি জেলার ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে গোলকগঞ্জ, গৌরীপুরের বাসিন্দা রয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে গ্রেফতার করে নির্দিষ্ট আইনে মামলা করারও পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে এই ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাচারচক্রের মূল উৎস খুঁজে পেতে চাইছে ধুবরি পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্ত কিংবা অসম-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বার বার অভিযোগ ওঠে, কাঁটাতার পার করে গরু পাচারের। বিএসএফ ও বিজিবির ভূমিকা এ ক্ষেত্রে কতটা নিরপেক্ষ হয় তা নিয়েও বহুবার প্রশ্ন তোলা হয়। গরু পাচার দুই দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম সমস্যা কারণ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার বাড়িয়েছে কেন্দ্র। এই এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়েই তল্লাশি ও প্রয়োজনে সন্দেহভাজনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার ক্ষমতাও বিএসএফকে দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি বিরোধী রাজ্য সরকার গুলি। ইতিমধ্যেই পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাশ হয়েছে।
কিছুদিন আগেই গরু পাচারকারী সন্দেহে রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা থেকেও এক বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে রাজগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। রাজগঞ্জের অঙ্গতগঞ্জ গ্রামে এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখেন কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা। তাঁরা প্রথমে আটক করে। এরপরই তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। জেরার মুখে ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, তাঁর নাম আলমিন হোসেন। বাড়ি বাংলাদেশের খুটাগঞ্জ গ্রামে। পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছেন তিনি। শাহু নদীপথে ভারতে এসেছেন গরু নিতে বলে জেরায় স্বীকারও করেন।
আরও পড়ুন: তালিকায় পিছনে নাম, তবু নিয়োগ কেন? এসএসসির কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
আরও পড়ুন: Holiday List: আগামী বছর টানা ১১ দিন পুজোর ছুটি, ২০২২ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ নবান্নের