Abhishek Banerjee: আমিই পাহারাদার, যারা ব্যালট ভাঙছে, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে: অভিষেক
Abhishek Banerjee: অভিষেকের হুঁশিয়ারি, 'আমি জানি কোথায় কোথায় কে কী করতে পারে। যদি কেউ মনে করে, গায়ের জোরে ব্যালট বাক্স ভেঙে নিজেদের নাম ঢুকিয়ে আগামী দিনে দলের থেকে প্রার্থী আদায় করব... তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।'
কোচবিহার: পঞ্চায়েতের আগে জনসংযোগে আরও নজর দিচ্ছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর প্রথম দিনেই ব্যালট বাস্ক ঘিরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। প্রথমে সাহেবগঞ্জে হুড়োহুড়ির মধ্যে ভাঙল ব্যালট বাক্স। তারপর সিতাইয়ের (Sitai) গোসানিমারিতেও অভিষেক সভাস্থল ছাড়তেই ব্যালট বাক্স ঘিরে হুলূস্থূল কাণ্ড। দুই মাস ধরে চলবে এই কর্মসূচি। প্রথম দিনেই যদি এই চিত্র হয়, তাহলে আগামী দিনে কী হবে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল বিভিন্ন মহলে। এবার শীতলকুচির সভা থেকে ব্যালট বাক্স ঘিরে বিশৃঙ্খলা নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।
তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বললেন, ‘আমি শুনলাম, সিতাইয়ে গোসাইমারিতে আমি সভা শেষ করার পর আমার সভামঞ্চে ব্যালট বাক্স রাখা ছিল। সেখানে কিছু মানুষ অতি-উৎসাহিত হয়ে ভোট দিয়ে গিয়ে ব্যালট বাক্স প্রায় ভেঙে ফেলেছে। আগামিকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা অবধি গোসাইমারির মাঠেই আবার মতামত নেওয়া হবে। বিকেলের মধ্যে সেই রিপোর্ট আমি দেখব।’ একইসঙ্গে অভিষেকের হুঁশিয়ারি, ‘আমি জানি কোথায় কোথায় কে কী করতে পারে। যদি কেউ মনে করে, গায়ের জোরে ব্যালট বাক্স ভেঙে নিজেদের নাম ঢুকিয়ে আগামী দিনে দলের থেকে প্রার্থী আদায় করব… তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি এই কারণেই তৃণমূলের নবজোয়ার শুরু করেছি। আর কোন অঞ্চলে কারা দায়িত্বে ছিল, যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমার জানা আছে।’
অভিষেকের কথায়, ‘দুই ঘণ্টা যদি সময় থাকত, ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যেত ভালভাবে। কিন্তু অতিউৎসাহিত হয়ে কেউ কেউ এটি করেছেন। তাই আগামিকাল সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা অবধি গোসাইমারির মাঠেই আবার ভোট নেওয়া হবে।’ প্রশাসনও যাতে সহযোগিতা করে সেই অনুরোধও করেন তিনি। স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন, ‘কারও প্রভাব, কারও গা-জোয়ারি, কারও দাদাগিরি চলবে না। প্রার্থী সাধারণ মানুষ ঠিক করবেন।’