TMC: বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে নিয়ে দুই বিধায়কের ইগোর লড়াই, প্রকাশ্যে উদয়ন বনাম জগদীশ গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব

Cooch Bihar: এক বিধায়ককে পাশে বসিয়ে জেলা পরিষদের সদস্যকে বহিষ্কার করলেন কোচবিহার তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মন। অন্যদিকে সেই বহিষ্কৃত নেতাকে পাশে বসিয়ে এই বহিষ্কার 'অসাংবিধানিক' বলে দাবি করলেন দলের আরেক বিধায়ক।

TMC: বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে নিয়ে দুই বিধায়কের ইগোর লড়াই, প্রকাশ্যে উদয়ন বনাম জগদীশ গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব
বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে পাশে বসিয়ে সিতাইয়ের বিধায়কের সাংবাদিক বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2021 | 7:08 PM

কোচবিহার: এক বিধায়ককে পাশে বসিয়ে জেলা পরিষদের সদস্যকে বহিষ্কার করলেন কোচবিহার তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মন। অন্যদিকে সেই বহিষ্কৃত নেতাকে পাশে বসিয়ে এই বহিষ্কার ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করলেন দলের আরেক বিধায়ক। শনিবার এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, উদয়ন গুহ বনাম জগদীশ বর্মা বসুনিয়া গোষ্ঠীর লড়াই।

ঠিক কী ঘটেছে?

এদিন কোচবিহার জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূল নেতা নূর আলম হোসেনকে বহিষ্কৃত বলে ঘোষণা করে তৃণমূল। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকে পাশে বসিয়ে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানান তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরিন্দ্র নাথ বর্মন। এদিকে এই ‘বহিষ্কার দলীয় সংবিধান মেনে হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত মানার প্রশ্নই নেই’। বহিষ্কৃত নেতা কে পাশে বসিয়ে এমনই জানালেন সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। আর এই বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে তীব্র গোষ্ঠী কোন্দল। সেই নালিশ পৌঁছল দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে।

শনিবার তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য নূর আলম সেনকে দলবিরোধী কাজের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মন ও চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক উদয়ন গুহ। এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই দলের সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বহিষ্কৃত সেই নেতা কে পাশে বসিয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দেন এই বহিষ্কার দলের সংবিধান ও গঠনতন্ত্র মেনে হয়নি। তাই নূর আলম হুসেনের বহিষ্কার তিনি কখনওই মেনে নেবেন না। বিধায়কের এই বক্তব্যের পর দলের ভেতরে শুরু হয়েছে তীব্রকোন্দল।

যেখানে দলের সভাপতি বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঠিক সেখানেই এই সিদ্ধান্তকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন দলের সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক বিধায়ক জগদীশবাবু। তার স্পষ্ট বক্তব্য, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। আর যে পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে সেটিও সঠিক নয়। রাজ্য কমিটির কাছে বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য জগদীশের। তাঁর দাবি, সেখান থেকেও তাঁকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বহিষ্কার করতে গেলে যে যে পদ্ধতি মেনে বহিষ্কার করা উচিত তার কোনওটাই এখানে মানা হয়নি।

সাম্প্রতিককালে সিতাই ও দিনহাটার বিধায়ক একে অন্যকে উদ্দেশ্য করে যথেষ্ট গরমাগরম বক্তব্য রেখেছেন। বহিষ্কৃত নূর আলম হুসেনকে নিয়ে কোন্দল আরও স্পষ্ট হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

এদিকে শনিবার কোচবিহারে এসে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ এবং তৃণমূল জেলা সভাপতি গিরিন্দ্র নাথ বর্মন। তাঁরা একান্তে আলোচনা করেই এই নেতার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান। আর তার পরে বহিষ্কৃত নেতার পাশে দাঁড়ালেন দলের আরেক বিধায়ক। পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে কেউই উচ্চবাচ্য করতে চাইছেন না।

বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা নূর আলম হোসেন জানান , বহিষ্কারের আগে তাঁকে কোনও শো-কজ করা হয়নি। তার অপরাধ কী সেটাও তাঁকে জানানো হয়নি। হঠাৎ করে কেন তাঁকে বহিষ্কার করা হচ্ছে তা নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে বিগত দিনের মতোই তিনি তৃণমূলের হয়ে কাজ করে যাবেন বলে জানান নূর আলম।

আরও পড়ুন: Child Death: ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৫ সদ্যোজাতের মৃত্যু! কারণ জানতে রাস্তা অবরোধ কন্যাহারা বাবার