West Bengal Assembly Election 2021 Phase 4: আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালাতে হয়েছে, বিবৃতি বাহিনীর কো-অর্ডিনেটরের

West Bengal Assembly Election 2021 Phase 4: শনিবার চতুর্থ দফার ভোট ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথ চত্বর।

West Bengal Assembly Election 2021 Phase 4: আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালাতে হয়েছে, বিবৃতি বাহিনীর কো-অর্ডিনেটরের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 10, 2021 | 3:10 PM

কলকাতা: আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালাতে হয়েছে শীতলকুচিতে। বিবৃতি দিয়ে জানালেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি তথা এ রাজ্যের ভোটে মোতায়েন হওয়া আধা সেনার কো-অর্ডিনেশন অফিসার অশ্বিনী কুমার সিং। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথে যেভাবে উত্তেজিত জনতা সিআইএসএফের জওয়ানদের ঘিরে ধরেছিল, তাতে বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয়।

শনিবার চতুর্থ দফার ভোট ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথ চত্বর। জোরপাটকির আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে এদিন ভোটগ্রহণ পর্ব চলছিল। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজির বিবৃতিতে বলা হয়, ভোটদানে বাধার অভিযোগ পেয়ে এদিন সকাল ৯টা ৩৫ নাগাদ কমান্ডার ইন্সপেক্টর সুনীল কুমারের নেতৃত্বে কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা সেখানে গেলে তাঁদের ৫০-৬০ জন ঘিরে ধরে। এই গোলমালের মধ্যে একজন শিশু পড়ে যায়। কুইক রেসপন্স টিমের গাড়িতে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। জওয়ানদেরও আক্রমণ করা হয়। এরপরই নিজেদের রক্ষা করতে শূন্যে ৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে কুইক রেসপন্স টিম। ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিআইএসএফ আধিকারিক দীপক কুমার। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর ঘণ্টাখানেক পর প্রায় ১৫০ জন জড়ো হয় ১৮৬ নম্বর বুথের কাছে। নির্বাচনী আধিকারিকদের উত্যক্ত করার অভিযোগ আসে। হোম গার্ড ও আশা কর্মীদের মারধরের অভিযোগও ওঠে। সিআইএসএফ ও বুথের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা জনতাকে সরানোর চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি। জোর করে উত্তেজিত জনতা বুথের ভিতরে ঢুকে পড়েন। ভোটকর্মীদের মারধর শুরু করেন। কয়েকজন সিআইএফএফের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন। এর পরই বাধ্য হয়ে সিআইএসএফ জওয়ানরা শূন্যে দু’ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। কিন্তু তাতেও কান দেননি জনতা।

ভোটের সাম্প্রতিকতম খবর জানতে ক্লিক করুন

এরইমধ্যে কুইক রেসপন্স টিম ও সিআইএসএফ ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সিআইএসএফ জওয়ানদের প্রতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন সেখানকার লোকজন। প্রাণ বাঁচাতে সাত রাউন্ড গুলি চালান আধা সেনা জওয়ানরা। এতে বেশ কয়েকজন জখম হন, উত্তেজিত জনতাও সরে যায়। আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রিপোর্ট এসেছে, ৫-৬ জন গুরুতর জখম হন এবং মারাও যান। এমনটাই লেখা হয়েছে বিবৃতিতে।