Abhishek Banerjee: ‘রক্তপাতহীন’ নির্বাচনের জন্য ভাল প্রার্থীর খোঁজ অভিষেকের, মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে সফর শুরু
Coochbehar: বিকেল ৪টে ৪৮ মিনিটে নাগাদ মন্দির চত্বরে প্রবেশ করেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। সেখানে পুজো দিয়ে প্রথমে জয়তারার ঘরে এবং তারপর আনন্দময়ী মায়ের কাছে পুজো দেন তিনি।
কোচবিহার: মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে কোচবিহার থেকে ২ মাসের জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার বিকেলে কোচবিহারে পৌঁছেই মদনমোহন মন্দিরে যান তিনি। সেখানে পুজো দেন। এরপর জনসংযোগের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এদিন হেলিকপ্টারে বিএন শীল কলেজের হেলিপ্যাডে এসে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেনকিন্সের সামনে থেকে মদনমোহন বাড়ি পর্যন্ত গোটা রাস্তা জুড়ে তৈরি ছিলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বিকেল ৪টে ৪৮ মিনিটে নাগাদ মন্দির চত্বরে প্রবেশ করেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। সেখানে পুজো দিয়ে প্রথমে জয়তারার ঘরে এবং তারপর আনন্দময়ী মায়ের কাছে পুজো দেন তিনি। অভিষেকের এই সফর ঘিরে এদিন মন্দির চত্বরে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ছিল দেখার মতো।
পূর্ব নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা আগে থেকেই মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। গোটা মদনমোহন বাড়িতে পুলিশে ছয়লাপ। আসেন দলের নেতা কর্মীরাও। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক জানান, “মদনমোহনের কাছে পুজো দিয়ে বাংলার সকল মানুষের মঙ্গল কামনা করে এই কর্মসূচি শুরু করতে চলেছি।”
অভিষেকের কথায়, “কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ একটাই রাজ্য, তার নাম পশ্চিমবঙ্গ। পৃথক রাজ্যের দাবি আমরা কখনওই মেনে নেব না। অনেকে বলেন বাংলা এখানে শেষ হচ্ছে। কিন্তু আমি বলব কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের মাথা। এই কোচবিহার থেকে শুরু করে সাগরে গিয়ে আমার এই কর্মসূচি শেষ হবে।”
মদনমোহন বাড়ি থেকে বেরিয়ে দিনহাটার রাস্তায় বেরিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পথে দু’ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কিছু মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। মিনিট দু’য়েকের জন্য যান পার্টি অফিসেও। সেখানে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করে গন্তব্য দিনহাটা।
মঙ্গলবার এই দিনহাটাতেই তিনটি জনসভা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার যাবেন তুফানগঞ্জ। তারপর আলিপুরদুয়ার। এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচন যেন দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসহীন ও রক্তপাতহীন হয়। তার জন্য প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে সঠিক প্রার্থী নির্বাচন। আর ঠিক এই কারণেই আমরা প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েতে গিয়ে জানতে চাইছি আপনারা কাকে প্রার্থী চাইছেন তা নিজেরা বেছে নিন।”