TMC: বাড়িতে ‘জুয়ার আসর’, ‘তৃণমূল নেতা’কে মারধরের অভিযোগ দলের লোকের বিরুদ্ধেই

Coochbehar: অভিযোগ, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ একরামুল হকের বাড়িতে হামলা হয়। হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের একদল কর্মীর বিরুদ্ধে। একরামুলকে মারধর, বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে।

TMC: বাড়িতে 'জুয়ার আসর', 'তৃণমূল নেতা'কে মারধরের অভিযোগ দলের লোকের বিরুদ্ধেই
বাড়িতে হামলার অভিযোগ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2023 | 5:57 PM

কোচবিহার: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ কোচবিহারে (Coochbehar)। আবারও উত্তপ্ত দিনহাটার গিতালদহ। প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর ও টাকা লুঠপাটের অভিযোগ উঠল এবার। প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য একরামুল হকের বাড়িতে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। যদিও পাল্টা অভিযোগ, একরামুল হক তাঁর বাড়িতে নিয়মিত জুয়ার আসর বসান। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাই হাতেনাতে তা ধরতে গিয়েছিলেন। যদিও একরামুল নিজেকে বারবার তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করলেও তাঁকে প্রাক্তন বলেই দাবি করেছেন দলের একাংশ। এলাকার তৃণমূল নেতা আনারুল হক বলেন, “একরামুল প্রাক্তন। আবু আল আজাদকে আমরা জেলার তরফ থেকে বহিষ্কার করেছি। একরামুল ওনারই অনুগামী। তাই উনিও আমাদের নন। ওনারাও নাগরিক মঞ্চই করেন গিতালদহে।”

অভিযোগ, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ একরামুল হকের বাড়িতে হামলা হয়। হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের একদল কর্মীর বিরুদ্ধে। একরামুলকে মারধর, বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। একরামুল হক নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও গিতালদহের প্রাক্তন প্রধান আবু আল আজাদের অনুগামী বলে দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ, গিতালদহ-১ ও ২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির লোকজন হামলা চালান। একই অভিযোগ একরামুলের স্ত্রী ও মায়েরও। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় নেতৃত্ব।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে একরামুলের বাড়িতে জুয়ার আসর বসছে। বহু পরিবার এর জন্য নিঃস্ব হওয়ার পথে। আমাদের কাছে ওইসব বাড়ির মহিলারা অভিযোগ জানান। এরপরই আমরা ভাবি ওই বাড়ি থেকে জুয়ার আড্ডা বন্ধ করতে হবে। সেই জন্যই ছেলেরা জুয়ার আড্ডা ভাঙতে যায়। প্রশাসনকে বলেছিলাম। তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমরা হতাশ হই। তাই দলীয়ভাবে জুয়ার আড্ডা ভাঙার চেষ্টা করি। গিতালদহে যাতে পরিবারগুলো এমন নিঃস্ব হওয়ার পথে না পড়ে তাই এটা করা হয়েছে। তবে সেখানে শারীরিক হেনস্থা বা কিছুই হয়নি। সিসিটিভি আছে ওখানে। তা দেখলে বোঝা যাবে।”