West Bengal Panchayat Elections 2023: হারার পর নিশীথের পায়ে পড়ে হাউ হাউ করে কাঁদলেন বিজেপি প্রার্থী
West Bengal Panchayat Elections 2023: দৃশ্যত আতঙ্কিত ওই প্রার্থী। যদিও নিশীথ প্রামাণিক তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি। তারপরও ওই মহিলা প্রার্থীকে কাঁদতে দেখা যায়।
কোচবিহার: পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোর টক্কর দিয়েছিলেন শাসক প্রার্থীকে। কিন্তু শেষমেশ হেরে গিয়েছেন। নেতাকে সামনে পেয়ে পা জড়িয়ে কেঁদে ফেললেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। তিনি গোসানিমারি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী বিউটিবালা দাস। TV9 বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ছবি। নিশীথ প্রামাণিকের পা ধরে পরাজিত সেই প্রার্থী বলতে থাকেন, “দাদা আমি আর গ্রামে ফিরতে পারব না। আমার বাড়িতে ভাঙচুর চলবে।” দৃশ্যত আতঙ্কিত ওই প্রার্থী। যদিও নিশীথ প্রামাণিক তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন। তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি। তারপরও ওই মহিলা প্রার্থীকে কাঁদতে দেখা যায়।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য দিনহাটায় যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। আর সেখানেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে তাঁর পায়ে কান্নায় লুটিয়ে পড়েন ওই বিজেপি প্রার্থী। তাঁর দাবি, তিনি তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো দু’লক্ষ টাকা খরচ করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। যদি তিনি জরিমানা স্বরূপ ৫০ হাজার টাকা না দেন, তাহলে তার বাড়িঘর ভাঙচুর এবং মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। আতঙ্কে নিশীথের পায়ে পড়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। যদিও নিশীথ তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভেটাগুড়িতে জয় পেয়েছে বিজেপি। নিশীথের গ্রামে উচ্ছ্বাস গেরুয়া শিবিরের। নিশীথ বললেন, “গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। যেখানে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন, সেখানে নিশ্চিতভাবে ভারতীয় জনতা পার্টিই জিতেছে। আর যেখানে যেখানে ছাপ্পা হয়েছে, ভোট লুঠ হয়েছে, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে। এটা কিন্তু পুরো বাংলার মানুষ প্রত্যক্ষ করলেন।”
প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নিশীথের গ্রাম ভেটাগুড়ি। বারবার বোমাবাজি, গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এক বিজেপি প্রার্থীর হেরে যাওয়ার পর তাঁর ওপর হামলার আশঙ্কা থেকেই কেঁদে ফেলেছেন।