‘মুখ্যমন্ত্রীর কথামতোই মানুষ ক্ষতিপূরণ পাবেন’, মায়াচরে ত্রাণ নিয়ে হাজির সেচমন্ত্রী, ঘুরে দেখলেন ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা

দুর্গত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে হাতে হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন সেচমন্ত্রী। পাশাপাশি, এও প্রতিশ্রুতি দেন, যাঁরা যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের সকলের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

'মুখ্যমন্ত্রীর কথামতোই মানুষ ক্ষতিপূরণ পাবেন', মায়াচরে ত্রাণ নিয়ে হাজির সেচমন্ত্রী, ঘুরে দেখলেন ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা
সেচমন্ত্রী, ছবিসূত্র: ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: May 30, 2021 | 5:18 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) দাপটে ‘বাঁধহীন’ বাংলা। উপকূলের অধিকাংশ জেলাগুলিই বানভাসি। একের পর এক নদীতে নেমেছে ধস। ভেঙে গিয়েছে বাঁধের পর বাঁধ। ডুবে গিয়েছে অগুনতি বাড়ি। সবর্ত্র পৌঁছয়নি ত্রাণ। এখনও গৃহহীন অনেকে। ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সেচ দফতরের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন একের পর এক এ ভাবে বাঁধ ভেঙেছে তার খতিয়ানও চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। শুধু তাই নয়, দ্রুত বাঁধ মেরামতির পাশাপাশি কেন বাঁধ ভেঙেছে তার জন্য তদন্ত কমিটির নির্দেশও দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মা প্রকাশের পরেই জলসম্পদ ভবনে নিজের আধিকারিকদের সঙ্গে দ্রুত বৈঠক সারেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র (Soumen Mahapatra)। এরপরই, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন খোদ সেচমন্ত্রী। রবিবার, তমলুক মহিষাদলের মায়াচর পরিদর্শন করেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। এদিন, তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, মহিষাদল বিধানসভার বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী।

রবিবারের দুপুরে, ইয়াসের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত গোটা মায়াচর চষে বেড়ান সেচমন্ত্রী। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে এই এলাকায় মানুষের বসবাস। ইয়াসের প্রভাবে প্রায় ছয় হাজার মানুষ গৃহহীন। নষ্ট হয়েছে একাধিক চাষের জমি। সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে গিয়েছে কয়েকশো বসতবাড়ি। এদিন, দুর্গত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে হাতে হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন সেচমন্ত্রী। পাশাপাশি, এও প্রতিশ্রুতি দেন, যাঁরা যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের সকলের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। পরিদর্শনের পর সেচমন্ত্রী বলেন, “আমি গোটা মায়াচর ঘুরে দেখলাম। এখানে স্থায়ী বাঁধই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এত ক্ষতি হবে তা বোঝা যায়নি। ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাঁদের পরামর্শ মতোই কাজ হবে। যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা সকলে সরকারি সাহায্য় পাবেন।মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে পদ্ধতিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন, সেইভাবেই মানুষের কাছে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়া হবে।”

সেচ দফতর ( Department of Irrigation and Waterways) সূত্রে খবর, ইয়াসের প্রভাব সর্বাধিক পড়েছে পাঁচটি জেলায়। সেই জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। সেচমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিকঠাক করতে অতি দ্রুত বাঁধ ও সেতু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। সবকিছু মেরামতিতে প্রায় দেড়শো কোটি টাকার কাছাকাছি অর্থমূল্য ধার্য হয়েছে। বর্ষা আসলে কাজ করতে সমস্যা হবে। তাই মরসুমের আগেই মেরামতির কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন: ‘মোদী দাদা, মমতা বোন, ওঁদের বৈঠকের অন্তরায় রাজ্য বিজেপি’, বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ