Balurghat: বাবার স্বল্প আয়ে অনেক কষ্টে পড়াশোনা, বালুরঘাটের সেই ছেলেই আজ পরমাণু বিজ্ঞানী
West bengal: কৌস্তভের পড়াশোনা বালুরঘাটেই। ২০১৬ সালে তিনি বালুরঘাট হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছেন। ২০১৮ সালে উচ্চ-মাধ্যমিকে সফলতা পেয়ে ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
বালুরঘাট: জেলার জন্য আবারও সুখবর। দক্ষিণ ভারতের ইন্দিরা গান্ধী রিসার্চ সেন্টারে জুনিয়র নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট পদে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পেলেন বালুরঘাটের কৌস্তভ ঘোষ। ভাবা পারমাণবিক গবেষণা সংস্থার (বার্ক) লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কৌস্তভ। সম্ভাব্য এই মাসেই তিনি এক বছরের জন্যে প্রশিক্ষণ নিতে সেখানে যাবেন। মনে করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গ থেকে একমাত্র নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্ট পদে সুযোগ পেয়েছেন কৌস্তভ। জানা গিয়েছে, নিউক্লিয়ার ফুয়েল সাইকেলের উপরই কাজ করবেন তিনি। তাঁর প্রশিক্ষণ পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ এক বছর পরে তাঁকে সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দিতে পারে বার্ক তেমনটাই খবর।
কৌস্তভের পড়াশোনা বালুরঘাটেই। ২০১৬ সালে তিনি বালুরঘাট হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছেন। ২০১৮ সালে উচ্চ-মাধ্যমিকে সফলতা পেয়ে ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ২০২১ সালে গুয়াহাটি আইআইটিতে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। এরপর সেখানে থেকেই ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে নিয়োগের পরীক্ষায় বসেন। আর তারপরই নিদারুণ এই সাফল্য।
কৌস্তভের কথায়, ডক্টর এ পি জে আবদুল কালামকে নিজের আদর্শ মেনেই আজ তিনি এমন সাফল্য পেয়েছেন। তবে যাত্রা পথ যে এতটাও মসৃণ ছিল না সে কথাও মেনে নিয়েছেন তিনি।
কৌস্তভের বাবা অসিত বাবু শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন। মা রুমু ঘোষ গৃহিণী। বাবার অর্জন করা সামান্য টাকার উপরই অনেক কষ্টে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
কৌস্তবের মা বলেন, “অনেক পরিশ্রমের ফল পেয়েছে আমার ছেলে। যতটা পেরেছি ওর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। খুব কস্টে চলতে হয়েছে আমাদের। আজ খুশি লাগছে।”