Balurghat Crime News: সরস্বতী পুজো থেকে স্বামী-স্ত্রী একই সঙ্গে নিখোঁজ, পরে স্বামী ফিরলেও, স্ত্রীর ভয়ঙ্কয় পরিণতি!
Balurghat Crime: দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। গোটা ঘটনায় মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বালুরঘাট: বিগত পাঁচ দিন আগে একই সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী দু’জনই। কিন্তু একদিন পর স্বামী ফিরে এলেও মেলেনি স্ত্রীর খোঁজ। পরে আত্রেয়ী নদীর চর থেকে উদ্ধার হয় অন্তঃসত্ত্বা আদিবাসী মহিলার নগ্ন দেহ। হঠাৎ কীভাবে বালুচরে এলেন ওই মহিলা? স্বামী একদিন আগে ফিরে এলেও স্ত্রী কেন এলেন না? তাঁরা কি দু’জন এক সঙ্গেই ছিলেন? মহিলাকে কি খুন করা হয়েছে নাকি অন্য কিছু? একগুচ্ছ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে গোটা ঘটনায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। এবং দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। গোটা ঘটনায় মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে ওই গৃহবধূর নাম পাখি পাহান মুর্মু(২০)। শ্বশুর বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের সৈয়দপুর এলাকায়। বাপের বাড়ি মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জ এলাকায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। যদিও মৃতার শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ তাদের ছেলেও একই দিন থেকে নিখোঁজ ছিল। দু’দিন আগেই ছেলে বাড়িতে এলেও বৌমার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাই গতকালই বালুরঘাট থানা নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এরপর আজ দেহ উদ্ধার হয়। এনিয়ে মৃতার বাপের বাড়ির তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চলেছেন। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলেও বালুরঘাট থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে পাখি পাহান মুর্মুর বিয়ে হয় সৈয়দপুরের স্বপন মুর্মুর সঙ্গে। স্বপন পেশায় শ্রমিক। তাঁদের একটি ৪ বছরের সন্তান রয়েছে ৷ বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন মৃতা পাখিদেবী। সরস্বতী পুজোর আগের রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন স্বামী-স্ত্রী৷ নিখোঁজের দিন তিনেক পর স্বামী স্বপন মুর্মু বাড়ি ফিরে এলেও স্ত্রী আসেনি। এমনকী স্বামীকে জিজ্ঞাসা করা হলেও সে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। এরপর বাধ্য হয়ে গতকাল বালুরঘাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এরপর আজ সকালে সৈয়দপুর এলাকায় আত্রেয়ী নদীতে নগ্ন মহিলার দেহ ভেসে আসছে দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কীভাবে ওই এলাকায় মৃতদেহটি এলো, পাশাপাশি ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে কিনা সবকিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ।