Panchayat Elections 2023: টিকিট না পেয়ে বিধায়ক-পুত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, শেষে ‘হার’ মানলেন তৃণমূল নেতা

Panchayat Elections 2023: এদিন গোঁজ প্রার্থী হিসেবে মফিজউদ্দিন মিঁয়া, সুধীর চন্দ্র রায়, সুপর্ণা রায়, সৈফুল আলম মণ্ডল ও বিদ্যুৎ মালি নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।

Panchayat Elections 2023: টিকিট না পেয়ে বিধায়ক-পুত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, শেষে ‘হার’ মানলেন তৃণমূল নেতা
শেষ পর্যন্ত তুলে নিলেন মনোনয়ন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2023 | 11:35 PM

বালুরঘাট: দল টিকিট দেয়নি। তাই ক্ষোভে তৃণমূলের প্রতীকেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া। দলের তরফে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভে কুমারগঞ্জের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলের ছেলের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদ আসনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই থেকে পিছু হটলেন মফিজউদ্দিন মিঁয়া। মঙ্গলবার মনোনয়নের শেষ দিনে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। সেই সঙ্গে তৃণমূলের আরও চারজন জেলা পরিষদের গোঁজ প্রার্থীও মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের মনোনয়ন প্রত্যাহারকে স্বাগত জানিয়েছেন বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল।

প্রসঙ্গত, মফিজউদ্দিন মিঁয়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। তিনি আবার এলাকায় বিধায়ক তোরাফ হোসেনর বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর লোক বলেই পরিচিত। এবার তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। রাগে নিজেই দাঁড়িয়ে যান। যার ফলে ফের প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জানা গিয়েছে, জেলায় দলের টিকিট না পেয়ে কুমারগঞ্জের তিনটি আসন, হিলির দুইটি আসন ও কুশমন্ডির একটি আসনে গোঁজ প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। তাঁদের মধ্যে এদিন গোঁজ প্রার্থী হিসেবে মফিজউদ্দিন মিঁয়া, সুধীর চন্দ্র রায়, সুপর্ণা রায়, সৈফুল আলম মণ্ডল ও বিদ্যুৎ মালি নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। তবে কুমারগঞ্জের জেপি ৭ আসনে তৃণমূল গোঁজ প্রার্থী ধেনা টুডুর মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে পারেনি দল। কাজেই তিনি নির্দল হয়েই লড়ছেন। এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় ৫০ আসন এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১৫০ আসনের অধিকাংশ গোঁজ প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। অন্যদিকে, বাম ও বিজেপির বেশ কিছু প্রার্থীও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন বলে খবর। 

জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া বলছেন, “যেহেতু দলের প্রতীক পাইনি তাই প্রার্থী হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। তাই আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। আমার মতো আরও অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। যেহেতু আমরা দলের একনিষ্ঠ কর্মী, তাই দলের স্বার্থেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করছি। বিধায়ক পুত্র বা অন্য কোন প্রার্থীর প্রচারে ডাকলে অবশ্যই যাব।” 

এ বিষয়ে কুমারগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল বলেন, “উনি দলের প্রতীক পাননি। শেষ পর্যন্ত উনি দলের কথা শুনেছেন। দলের মর্যাদা রেখেছেন। খুব ভাল লাগল। ওনার এই সিন্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আগামীতে সকলকে নিয়েই কাজ করর।” এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, “দলের তরফে গোঁজ প্রার্থীদের আগেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া ছিল। সেই মতো জেলার সব জায়গাতেই গোঁজ প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।” সহজ কথায়, জেলার তৃণমূল নেতাদের সাফ দাবি, আর কোথাও নেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।