Balurghat: হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে ঢালাই, মমতার সফরের আগেই রাস্তা তৈরিতে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ বালুরঘাটে
Balurghat: রবিবার সকালে এ ঘটনা সামনে আসতেই বালুরঘাট পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নেপালীপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাফ দাবি, নতুন রাস্তার থেকে পুরনো রাস্তা অনেক ভাল ছিল। রাস্তাটি পুনরায় নতুন করে তৈরি করে দিতে হবে।
বালুরঘাট: ১২ বছর পর বালুরঘাটে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকালে রয়েছে সেই সভা। মমতার আগমণের কারণে এখন থেকেই জোর প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে বালুরঘাটের প্রশাসনিক মহলে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী সফরের আগে পুরসভার রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ বালুরঘাটে। উঠছে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও। তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাস্তায় হাত দিলেই উঠে আসছে সিমেন্ট, বালি ও পাথর। রাস্তা তৈরিতে কাটমানি নেওয়ারও অভিযোগ উঠছে। রাস্তা খারাপের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর শিপ্রা খাঁ। তবে বিষয়টি ইঞ্জিনিয়র দেখে তবে আসল কারণ জানাতে পারবে বলে মত তাঁর।
রবিবার সকালে এ ঘটনা সামনে আসতেই বালুরঘাট পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নেপালীপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাফ দাবি, নতুন রাস্তার থেকে পুরনো রাস্তা অনেক ভাল ছিল। রাস্তাটি পুনরায় নতুন করে তৈরি করে দিতে হবে। তা না হলে এই রাস্তা এমই উঠে যাবে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের৷ অন্যদিকে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুরসভা।
বালুরঘাট পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নেপালিপাড়া এলাকায় প্রায় ৭০ মিটার একটি ঢালাই রাস্তা করা হয়। এদিকে বরাবরাই রাস্তাটি খুব নীচু। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে থাকে। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন থেকেই রাস্তা তৈরির দাবি জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। অবশেষে পুরসভার তরফে এই রাস্তা করা হয়। শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাস্তায় ঢালাই দেওয়া হয়। কিন্তু, রাত পোহাতে না পোহাতেই উঠে যাচ্ছে ঢালাই।
সূত্রের খবর, এই রাস্তা ও আরও একটি রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। একদিন আগে এই রাস্তা করা হলেও এখন পর্যন্ত সেই রাস্তার সিমেন্ট-পাথর-বালিও এখনও জমাট বাঁধেনি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। হাত দিতেই উঠে আসছে পাথর বালি সিমেন্ট। ৪ ইঞ্চির ঢালাই করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলেও অভিযোগ। সরকারি শিডিউল মেনে কাজ করা হয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী। তাই এই অবস্থা বলে অভিযোগ। এদিকে রাস্তা তৈরি হলেও কত টাকার কাজ হয়েছে সে বিষয়ে পোস্টার দিয়ে পুরসভার তরফে কিছু জানানো হয়নি। তাই টাকার অঙ্কটা এখনও অজানা এলাকার বাসিন্দাদের। পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক কুমার মিত্র বলছেন, বিষয়টি নজরে আসেনি। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। তবে এমন ঘটনা ঘটলে তা ঠিক হয়নি।