Body Found Harirampur: বাড়ির ছাদে সিপিএম নেতার দেহ, পাশে দোনলা বন্দুক… আত্মহত্যা বলছে পরিবার
South Dinajpur: পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় শামসুজ্জামানতে। সঙ্গে সঙ্গে হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির লোকজন। যদিও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর: সিপিএম নেতার রহস্যমৃত্যু। অভিযোগ, নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন সিপিআইএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। হরিরামপুর থানার পুণ্ডরী গ্রামপঞ্চায়েতের সোনাহান গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিহত নেতার নাম শামসুজ্জামান (৭২)। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির পদে ছিলেন শামসুজ্জামান। এলাকায় যথেষ্ট পরিচিত মুখ তিনি। তাঁর এমন পরিণতিতে চাপানউতর তৈরি হয়েছে এলাকায়। পরিবারের তরফে হরিরামপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে। পরিবার সূত্রে খবর, কোনও মানসিক অবসাদ থেকে এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন ওই সিপিএম নেতা।
পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার বাড়ির ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় শামসুজ্জামানতে। সঙ্গে সঙ্গে হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির লোকজন। যদিও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই খবর যায় থানায়। শামসুজ্জামানের ছেলে জানাত হোসেন জানান, প্রতিদিনই খুব ভোরে উঠে পড়েন তাঁর বাবা। নমাজ পড়তে যান।
সোমবারও সকালে শামসুজ্জামানকে ঘরে না দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকেরা ভেবেছিলেন নমাজ পড়তেই গিয়েছেন। জানাত জানান, সকাল ১০টা বেজে গেলেও বাবাকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয়। মেয়েকে বলেন বাবার জুতোটা বাড়িতে আছে কি না দেখে আসতে। মেয়ে এসে জানায়, বাড়িতেই জুতো। এরপরই খোঁজ করে বাড়ির ছাদে যান জানাতরা।
সেখানেই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন বলে দাবি নিহতের ছেলের। দেহের পাশে বাবার দোনলা বন্দুকটিও পড়েছিল বলে জানান ছেলে জানাত। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, গুলি চললে তার তো শব্দ হবে। কেউ কি কোনও আঁচ পাননি? জানাত হোসেনের কথায়, “সোমবার ভোরের দিকে একটা শব্দ পাই। তবে পটকা ফাটার শব্দ ভেবেছিলাম। আবার অনেকটা পুরনো টায়ার ফেটে যাওয়ার আওয়াজের মতো। এত কিছু মাথাতেই আসেনি।” হরিরামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।