Patient Death: হাসপাতালের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, বিক্ষোভে ফেটে পড়ল পরিবার

Balurghat: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর গ্রামপঞ্চায়েতের দিলপছন্নর বাসিন্দা ছিলেন বাসন্তী মহন্ত। রবিবার বিকেলে জ্বর নিয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিবারের দাবি, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ মারা যান বাসন্তীদেবী। তবে আগে থেকেই শরীর যে খারাপ হচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছিল।

Patient Death: হাসপাতালের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, বিক্ষোভে ফেটে পড়ল পরিবার
রোগীর আত্মীয়দের বিক্ষোভ। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2023 | 7:02 AM

বালুরঘাট: রোগীর মৃত্যুতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠল। আর সেই অভিযোগকে সামনে রেখে সোমবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, রোগীর অবস্থা খারাপ তা বারবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু সে কথা গ্রাহ্যই করেননি কর্তব্যরতরা। তাতেই ৬৫ বছর বয়সি বাসন্তী মহন্ত মারা যান বলে পরিবারের দাবি। এরপরই রাতে হাসপাতালে ভিড় জমান রোগীর আত্মীয়রা। অভিযোগ, ডাক্তার, নার্সদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পরে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাফিলতির অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর গ্রামপঞ্চায়েতের দিলপছন্নর বাসিন্দা ছিলেন বাসন্তী মহন্ত। রবিবার বিকেলে জ্বর নিয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিবারের দাবি, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ মারা যান বাসন্তীদেবী। তবে আগে থেকেই শরীর যে খারাপ হচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছিল। খারাপ অবস্থার কথা সেখানে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের জানানোও হয়। কিন্তু সে কথা কেউ আমলই দেননি বলে অভিযোগ পরিবারের। এমনকী চিকিৎসকরাও কানে তোলেননি বলে অভিযোগ। কার্যত বিনা চিকিৎসায় বাসন্তীদেবী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে দাবি বাড়ির লোকজনের।

বাসন্তী মহন্তর ছেলে দেবু মহন্ত বলেন, “মাকে জ্বর নিয়ে ভর্তি করিয়েছিলাম। কিন্তু এখানকার ডাক্তার, নার্সরা মাকে ভালভাবে দেখলই না। ডাক্তারবাবু হাত দিয়ে না দেখে কলম দিয়ে খুচিয় দেখেছেন। নার্সরাও রাতভর ফেলে রেখেছিল। কোনও নজরদারি করেনি। চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই আমার মা মারা গিয়েছে। আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।”

বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ জানান, রোগীর মৃত্যুর পর বাড়ির লোকেরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন বলে তাঁর কাছে খবর এসেছে। সুপারের দাবি, “প্রাথমিকভাবে খবর নিয়েছ। সেখানে চিকিৎসার গাফিলতির কোনও তথ্য আমার কাছে আসেনি। তবু কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা লিখিতভাবে জানাতে পারে। নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে বিষয়টি নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে।”